নয়া দিল্লি: পশ্চিমবঙ্গে গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে বিতর্ক জারি এখনও। এরই মধ্যে মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান নিয়ে নয়া বিধি জারি করল ওড়িশা সরকার। উত্তরাখণ্ডের পর ওড়িশাতেও মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নানে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ওড়িশা সরকারের তরফে জানান হয়েছে, ‘মকর সংক্রান্তি বা পোঙ্গলে কোনওরকম জমায়েত করা যাবে না। আয়োজন করা যাবে না মকর মেলার। ভক্ত সমাগম ছাড়াই হবে পুজোপাঠ। 


এদিকে, উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে বাতিল হল মকর সংক্রান্তির স্নান। হরিদ্বার জেলা প্রশাসনের তরফে জানান হয়েছে, ১৪ জানুয়ারি, মকর সংক্রান্তিতে স্নান করা যাবে না।  হর কি পৌড়িতে পুণ্যার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।  নাইট কার্ফু জারি করছে হরিদ্বার প্রশাসন। হরিদ্বার জেলা প্রশাসন ১৪ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তিতে ভক্তদের পবিত্র স্নানের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। "হর কি পৌড়ি' এলাকায় প্রবেশও সীমিত করা হয়েছে। ১৪ জানুয়ারি রাত ১০ টা থেকে পরদিন সকাল ৬ টা পর্যন্ত নাইট কার্ফু জারি করা হবে। " জানিয়েছেন হরিদ্বারের ডিএম বিনয় শঙ্কর পান্ডে।


অন্যদিকে, করোনার বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই গঙ্গাসাগর মেলায় যোগ দিতে ভিনরাজ্য থেকে আসছেন পুণ্যার্থীরা। শিয়ালদা, আউট্রাম ঘাট ও বঙ্গবাসী ময়দানে পুণ্যার্থীদের কোভিড পরীক্ষা ও ভ্যাকসিনেশনের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। কিন্তু সেখান থেকে উঠে আসছে অবাধ বিধিভঙ্গের ছবি। যা দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন চিকিৎসকরা।


গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে করোনা মোকাবিলায় তত্পর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। গঙ্গাসাগর যাওয়ার আগে কাকদ্বীপ, নামখানা পয়েন্টে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনা রোগীদের জন্য কাকদ্বীপে তৈরি করা হয়েছে দুটি কোয়ারেন্টিন সেন্টার ও ৩টি সেফ হোম। নামখানাতেও একটি করে কোয়ারেন্টিন সেন্টার ও সেফ হোমের ব্যবস্থা থাকছে। পাশাপাশি, প্রতিটি জেটিঘাটে তৈরি হয়েছে স্যানিটাইজার টানেল। এই টানেল দিয়েই উঠবে হবে ভেসেলে।প্রশাসন সূত্রে খবর, লট এইট থেকে কচুবেড়িয়া পর্যন্ত ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ভেসেল চালানো হবে। জেটিঘাটগুলিতে মাস্ক পরা নিয়েও চলছে কড়া নজরদারি।