দেহরাদূণ: উত্তরাখণ্ডে ধসে পড়া সুড়ঙ্গের মধ্যে আটকে ১২ দিন ধরে। বৃহস্পতিবার ৪১ জন শ্রমিককে বের করে আনা যেতে পারে বলে আশাবাদী উদ্ধারকারীদল (Uttarakhand Rescue Operations)। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা নাগাদ উদ্ধারকার্য সম্পন্ন হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে,। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে তেমনটাই জানিয়েছেন উদ্ধারকার্য চালানো এক আধিকারিক। তিনি জানিয়েছেন, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর আধিকারিকর যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। (Uttarakhand Tunnel Collapse)
এখনও পর্যন্ত যে খবর মিলেছে, বুধবার রাতে সুড়ঙ্গের মধ্যে আটকে পড়া শ্রমিক এবং উদ্ধারকারীদের মধ্যে ১২ মিটার আয়তনের পাথর এবং ধ্বংসস্তূপের ব্যবধান ছিল। আমেরিকায় তৈরি একটি ড্রিল মেশিন সুড়ঙ্গের ছ'ফুট ভিতরে ঢোকানো হয়েছে। গ্যাস কাটারও এসে পৌঁছেছে ঘটনাস্থলে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা সুড়ঙ্গের কিছুটা ভিতর পর্যন্ত ঢুকতে সক্ষম হয়েছেন। সুড়ঙ্গের ঠিক বাইরেই অ্যাম্বুল্যান্স দাঁড় করানো রয়েছে। ৪১ শয্যার একটি অস্থায়ী হাসপাতালও তৈরি করা হয়েছে, যাতে সুড়ঙ্গ থেকে বের করে এনেই সকলের চিকিৎসা শুরু করা যায়। রাজ্য প্রশাসন সবকিছুর তদারকি করছে।
উত্তরাখণ্ড পর্যটন জফতরের স্পেশাল অফিসার ডেপুটেড, ভাস্কর কুলবে জানিয়েছেন, আরও ছ'মিটার ভিতরে ঢুকতে সফল হয়েছেন তাঁরা। পরবর্তী পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী এক-দু'ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধারকার্য সম্পন্ন হবে বলে আশা করছেন তাঁরা। ড্রিলিংয়ে কাজ ৬৭ শতাংশ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন ভাস্কর।
আরও পড়ুন: ODI World Cup 2023: 'আমাদের ছেলেরা বিশ্বকাপ জিতে যেত..', নাম না করে মোদিকে নিশানা রাহুলের
উত্তরাখণ্ড রোড অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট বিভাগের আধিকারিক মাহমুদ আহমেদ জানিয়েছেন, রাত ১২টা বেজে ৪৫ মিনিটে আর্থ ড্রিলিং মেশিন আনা হয়। ধ্বংসস্তূপের ৫৭ মিটার ভিতরে আটকে পড়েছেন শ্রমিকরা। এখনও পর্যন্ত ৩৯ মিটার খোঁড়া গিয়েছে। বাকি রয়েছে ১৮ মিটার।
ভেঙে পড়া সুড়ঙ্গের মধ্যে উদ্ধারকার্য চালাতে গোড়া থেকেই বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। এর আগে ড্রিল করার সময় তীব্র শব্দে ফাটল ধরেছিল সুড়ঙ্গেের ছাদে। তাতে মাঝপথেই ড্রিলিং থামাতে হয়। এর পর উদ্ধারকার্যের গিত আরও শ্লথ হয়ে যায়। পাহাড়ের উপর থেকে উল্লম্ব ভাবে গর্ত খুঁড়েও বন্দি শ্রমিকদের বেরনোর রাস্তা বের করতে উদ্যোগী হন উদ্ধারকারীরা। আমেরিকা থেকে উড়িয়ে আনা হয় বিশেষজ্ঞদেরও।