এমটিভি রোডিজ-এ নেহার মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। এক প্রতিযোগী বলছিলেন, প্রাক্তন বান্ধবীর অন্য ৫ পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে জানতে পারায় তাঁকে চড় মারেন তিনি। তাতে নেহা তাঁকে বকাঝকা করেন, বলেন, ৫ জনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখাটা ওই মেয়েটির ইচ্ছে, তা জন্য তাঁকে মারধর মেনে নেওয়া যায় না।
কিন্তু এই মন্তব্যের জন্য মারাত্মক ট্রোলড হন নেহা। বলা হয়, তিনি ফেক ফেমিনিস্ট, হিপোক্রিট। আবার বেরিয়ে আসে তাঁর পুরনো ভিডিও, যাতে দেখা যাচ্ছে, এক মহিলা কাউকে মারার কথা স্বীকার করছেন, শুনে নেহার মুখে হাসি আর ধরে না!
এই পরিস্থিতিতে টুইটারে বিবৃতি দিয়েছেন নেহা। বলেছেন, তিনি প্রতারণা সমর্থন করেন না ঠিকই কিন্তু তা তো নীতিগত ব্যাপার। যে লিঙ্গেরই কথা বলা হোক, তিনি শারীরিক হিংসার বিরুদ্ধে। পুরুষের শক্তি নারীর থেকে বেশি, এ দেশ তো বটেই, গোটা বিশ্বেই মেয়েদের ওপর লিঙ্গের কারণে হিংসা চলে। কিন্তু নিজের মতামত দেওয়ার জন্য তাঁকে যেভাবে ট্রোল করা হচ্ছে, তা বিস্ময়কর। তিনি কিছু বলেননি এতদিন ঠিকই কিন্তু লোকজন তাঁর বাড়ির লোক, আত্মীয়স্বজনকেও ছাড়ছে না। বাবার হোয়াটসঅ্যাপও গালাগালিতে ভরে গিয়েছে। এমনকী তাঁর পুঁচকে মেয়ের সোশ্যাল মিডিয়া পেজেও ব্যবহার হচ্ছে জঘন্য ভাষা। এ সব কোনওমতেই গ্রহণযোগ্য নয়।
নেহার এই বিবৃতি সমর্থন করেছে বলিউড। তাপসী পান্নু, মালাইকা অরোরা, আয়ুষ্মান খুরানা, সোনম কপূর, নেহার স্বামী অঙ্গদ বেদী- সকলে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, আলোচনা চলতেই পারে কিন্তু কারও মতামত পছন্দ হয়নি বলে অনলাইনে তাঁর বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো কোনওমতেই সমর্থনযোগ্য নয়।