মালদা: বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। প্রায় প্রত্যেকদিন তৃণমূলের নানান স্তরের নেতা ও কর্মীদের বিজেপিতে যোগদানের পালা চলছিল। ভোটের পর এবাপর তৃণমূলে ফিরে আসতে চাইছেন দলছাড়াদের একাংশ। দলের নেতৃত্বের কাছে এ ব্যাপারে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। এবার ফের তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে আর্জি মালদার দলছাড়াদের। মালদার রতুয়া ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির ১৮ জন তৃণমূল সদস্য বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁরা আবার তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে আবেদন করেছেন বলে তৃণমূল সূত্রে দাবি।  ইতিমধ্যেই তাঁরা তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীর কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। 


এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর জানিয়েছেন, দলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।  জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ্রচন্দ্র মণ্ডলের দাবি, জোর করে কাউকে দলে আনা হয়নি। কেউ যেতে চাইলে আটকে রাখাও হবে না।


সোনালি গুহ,অমল আচার্য, দীপেন্দু বিশ্বাসের মতো মালদা জেলা পরিষদের সদস্য সরলা মুর্মুও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসতে চাইছেন।এবার মালদার পঞ্চায়েত সমিতিতেও ফাটল ধরল বিজেপিতে। রতুয়া ১ নং পঞ্চায়েত সমিতি সদস্য শুভম সরকার বলেছেন, ভুল করে বিজেপিতে গেছিলাম। ভুল বুঝতে পেরেছি। আবার তৃণমূলের ফিরে আসতে চাই। তাই জেলা সভানেত্রী ও বিধায়ক এর কাছে আবেদন জানিয়েছি।


রতুয়া ১  নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির মোট ৩০ টি আসন।২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে, ৩০ টির মধ্যে ২৬ টিতেই জেতে তৃণমূল। চারটিতে জয়লাভ করে কংগ্রেস।পরবর্তীকালে ওই চারজন সদস্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন।


ফলে বিরোধী শূন্য হয়ে পড়ে রতুয়া ১  নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি। চলতি বছরে বিধানসভা ভোটের আগে ফের বদলে যায় ছবিটা। ১৮ জন সদস্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন।সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে তৃণমূল।রতুয়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত চলে যায় বিজেপির দখলে।


কিন্তু ভোটপর্ব মিটতেই ফের তৃণমূলে ফেরার হিড়িক পড়ে গেছে। যদিও দলত্যাগীদের ফেরানো নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে চাইছে না তৃণমূল।যদিও বিজেপির আবার দাবি, স্বেচ্ছায় কেউ তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন না। তাঁদের ভয় দেখানো হচ্ছে।


বিধানসভা ভোটে মালদার ১২টি কেন্দ্রের মধ্যে তৃণমূল জিতেছে ৮টি-তে।বিজেপির দখলে রয়েছে ৪টি বিধানসভা কেন্দ্র।এবার ১৮ জন সদস্যকে তৃণমূল ফিরিয়ে নিলে, রতুয়া ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতিও হাতছাড়া হবে বিজেপির।