Malegaon Blast Case: মহারাষ্ট্রের মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় সব অভিযুক্তর রেহাই। মুম্বইয়ের NIA-র বিশেষ আদালত ৭ অভিযুক্তকে রেহাই দিল। ১৭ বছর পর মালেগাঁও বিস্ফোরণে সব অভিযুক্তর মুক্তি। অভিযুক্তর তালিকায় ছিলেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। তালিকায় ছিলেন সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রসাদ পুরোহিত। আরেক অভিযুক্ত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর রমেশ উপাধ্যায়। 

২০০৮-এর ২৯ সেপ্টেম্বর মোটরবাইকে রাখা দুটি বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে মালেগাঁও। বিস্ফোরণে ৬ জনের মৃত্যু হয়, জখম হন শতাধিক। ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্রী হিসেবে গ্রেফতার হয়েছিলেন সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। জামিন পাওয়ার পর মধ্যপ্রদেশের ভোপাল আসনে বিজেপি প্রজ্ঞাকে প্রার্থী করেছিল। এক দশক ধরে চলা মামলায় ৩২৩ জন সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। 

'মালেগাঁও বিস্ফোরণে ৩ থেকে ৪টি সংস্থা কাজ করছে। সরকার পক্ষ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে যে বিস্ফোরণটি বাইকেই হয়েছিল। তদন্তে অনেক ত্রুটি ছিল। ঘটনাস্থল থেকে আঙুলের ছাপ পাওয়া যায়নি। বাইকের চেসিস নম্বর পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর বিশেষজ্ঞরা প্রমাণ সংগ্রহ করেননি। প্রমাণ নষ্টের ঘটনা ঘটেছে', জানাল মুম্বইয়ের NIA-র বিশেষ আদালত। 

মহারাষ্ট্রের মালেগাঁওতে দাঁড়িয়ে থাকা  স্কুটারেই যে বোমা ছিল তা প্রমাণ করতে পারেনি সরকার, এমনটাই জানিয়েছে এনআইএ- র বিশেষ আদালতে। দুটো বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে তা প্রমাণিত, কিন্তু স্কুটারেই যে বোমা ছিল বা সেই স্কুটার স্বাধী প্রজ্ঞার ছিল, তা প্রমাণ করা যায়নি। অন্যদিকে আদালত এও জানিয়েছে যে ইউএপিএ ধারা ভুল ভাবে দেওয়া হয়েছিল। এমনকি যাঁদের সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযুক্তরা গ্রেফতার হয়েছিল, সেটাও ঠিকঠাক নয় বলে জানিয়েছে আদালত। এছাড়াও বিস্ফোরণের আগে হওয়া বৈঠক, প্রশিক্ষণ - এইসব তথ্যই খারিজ করেছে মুম্বইয়ের এনআইএ- র বিশেষ আদালত। ইউএপিএ ধারায় মামলা হওয়ার জন্য যা যা তথ্য প্রমাণ প্রয়োজন, তা যথেষ্ট পরিমাণে ছিল না এক্ষেত্রে, এই ধারায় মামলা হওয়ারই ছিল না, জানিয়েছে আদালত। ১৭ বছর পর এল মালেগাঁও বিস্ফোরণের রায়। আহতদের পরিবার পিছু ৫০ হাজার টাকা এবং মৃতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে আদালতের তরফে।