কলকাতা: শুভেন্দু অধিকারী কী করবেন, রাজ্য় রাজনীতি আবর্তিত হচ্ছে এই প্রশ্ন ঘিরে। রবিবারই শুভেন্দু তাঁর চূড়ান্ত রাজনৈতিক অবস্থান ঘোষণা করেন কি না, সেদিকেই এখন সবার নজর। আর এই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার দলীয় সাংসদ-মন্ত্রী-বিধায়ক ও বিভিন্ন জেলার সভাপতিদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে নাম না করেই শুভেন্দু ও বিদ্রোহীদের কড়া বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রে খবর, নেত্রী বলেন, বিজেপি ভোট এলেই এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখায়। এবারও সেটাই করছে। যাঁদের বুকের পাটা আছে, সাহস করে আমার সঙ্গে থাকতে চান, তাঁরা আমার সঙ্গে থাকুন। আর যাঁরা লুঠেরাদের সঙ্গে যেতে চান, তাঁরা চলে যান। অহঙ্কারীর পতন হবে, ট্রাম্পেরও পতন হয়েছে।
এদিনের ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারীও। সূত্রের খবর, কাঁথির তৃণমূল সাংসদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যাঁরা হলদিয়া, নন্দীগ্রাম, কাঁথি এইসব এলাকায় দলের পদে থেকেও দলবিরোধী কাজ করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। নন্দীগ্রাম ও হলদিয়ার ব্লক সভাপতিকে পরিবর্তন করতে হবে। সুব্রত বক্সীর সঙ্গে কথা বলে সরাতে হবে।
রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, নাম না নিলেও তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্যে স্পষ্ট, তাঁর নিশানায় শুভেন্দু। এদিকে এরই মধ্যে ফের একবার শুভেন্দুকে পরোক্ষে বার্তা দিয়েছে বিজেপি। শুভেন্দু দলে এলে স্বাগত বলে মন্তব্য করেছেন দলীয় নেত্রী ভারতী ঘোষ।
তৃণমূল সূত্রে আরও খবর, এদিনের বৈঠকে কিছুটা আক্ষেপের সুরে মমতা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদ নেওয়ার জন্য অনেকেই আমার মৃত্যুকামনা করছেন। কিন্তু মৃত্যু তো আমার হাতে নেই, তাতো ভগবানের হাতে। একথা শোনা মাত্র আবেগে কেঁদে ফেলেন সুব্রত বক্সী। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, এমন কথা বলবেন না দিদি। বাংলার মানুষের সেবার জন্য আপনাকে অনেক দিন বাঁচতে হবে।
ইতিমধ্যেই তৃণমূলের দুই একদা শীর্ষ নেতা মুকুল রায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এবার কি একই পথে শুভেন্দুও? এই প্রেক্ষাপটে নাম না করে, পুরনো দলের উদ্দেশে শোভনের বার্তা, যাঁর যে সম্মান প্রাপ্য, তাঁকে তা দেওয়া উচিত। বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, শুভেন্দুকে ছোটবেলা থেকে চিনি। শিশিরদা আমাকে বড় ছেলে বলত। শুভেন্দু অনেক খেটেছে। তাঁকে যোগ্য সম্মান দেওয়া উচিত।