কলকাতা : রোমের পর এবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেপাল সফরেও না কেন্দ্রের। নেপালি কংগ্রেসের ১৪ তম সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন মমতা। কিন্তু সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে অন্য দেশের রাজনৈতিক সমাবেশে মমতার যোগদান সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে ব্যাখ্যা দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক।


শুক্রবার থেকে আগামী দু’দিন নেপালে দলীয় সম্মেলন রয়েছে নেপালি কংগ্রেসের। তাতে যোগদানের জন্য মমতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এই ধরনের সমাবেশে যোগদানের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের থেকে ছাড়পত্র নেওয়া জরুরি। সেইমত নবান্নের তরফে আর্জি জানানো হয়েছিল। কিন্তু, তা খারিজ করে দিল কেন্দ্র।


তবে এই প্রথম নয়, এর আগে রোমে আয়োজিত বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে যেতেও মমতাকে ছাড়পত্র দেয়নি কেন্দ্র। সে বারও বিদেশমন্ত্রক জানায়, মুখ্যমন্ত্রী পদের সঙ্গে এই যাত্রা সঙ্গতিপূর্ণ নয় । সেই সময় তৃণমূলের তরফে এর তীব্র নিন্দা করা হয়েছিল। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হয়ে নরেন্দ্র মোদি কীভাবে আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারে গিয়েছিলেন, এমন প্রশ্নও ওঠে তৃণমূল থেকে।


এনিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মমতা নিজেও। তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘‘দু’মাস আগে কথাবার্তা হয়েছে। জার্মান চ্যান্সেলর যাবেন, পোপ, ইমাম, ইতালির প্রধানমন্ত্রী আর আমাকে বলেছিলেন যাওয়ার জন্য। ইতালি সরকার আমাদের বিশেষ অনুমতি দিয়েছিল। বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে বারবার যাওয়ার জন্য বলেছে। অথচ কেন্দ্র আমার এই যাত্রা বাতিল করে দিল। মুখ্যমন্ত্রীর জন্য নাকি এই যাত্রা নয়! আমি যেখানেই যাব সেখানেই বাধা। আর আপনাদের লোক খালি এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়াবে। তখন তো কেউ কিছু বলে না!’’


তিনি বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী মাঝে মাঝে দেশের কাজের জন্য যেতেই পারেন। কিন্তু আমাকে কেন রোমে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। যেই শান্তির কথা উঠল ওমনি যাওয়া বন্ধ। আমি বিদেশে ঘুরতে যাই না। আমার অত আগ্রহ নেই। কিন্তু রোমে গেলে তা দেশের জন্য গর্বের হত। হিন্দু ধর্মের জন্য যদি এত উদারতা তাহলে আমি একজন হিন্দু মহিলা, আমাকেই বারংবার আটকে দেওয়া হয় কেন? আসলে ওরা অন্যদের হিংসা করে।’’