কলকাতা: করোনা থেকে উমপুন, অনুদান নিয়ে কেন্দ্রের দিকে বারবার আঙুল তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বারবার বলেছেন, করোনার লড়াইয়ের জন্য রাজ্য কেন্দ্রের থেকে কোনও টাকা পায়নি। পরিযায়ী শ্রমিকদের দুরবস্থা নিয়েও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রোষ উগরে দিয়েছেন তিনি। কেন তাঁদের গাদাগাদি করে ট্রেনে চাপিয়ে পাঠানো হচ্ছে, তা নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই পরিযায়ীদের জন্যই কেন্দ্রের কাছে সাহায্য চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী। লকডাউনে বিরাট ক্ষতির শিকার হয়েছেন অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক ও হকাররা। তাঁদের অসহনীয় অবস্থা দূর করতে কেন্দ্রকে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার আর্জি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের আগে পিএম কেয়ার ফান্ড থেকে টাকা চেয়ে আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর। ট্যুইটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন, পিএম কেয়ার ফান্ড থেকে প্রত্যেক পরিযায়ী শ্রমিকের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার করে টাকা দেওয়া হোক। অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক ও হকারদের প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টেও দেওয়া হোক ১০ হাজার টাকা।

এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের টাকা দেওয়ার ইচ্ছে থাকলেও, সঙ্গতি নেই, তাই কেন্দ্রের কাছে টাকা দেওয়ার আবেদন, মুখ্যমন্ত্রীর ট্যুইট বার্তায় উল্লেখ।



মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী জানান, উমপুন বিধ্বস্ত প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষদের সরাসরি আর্থিক সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ট্যুইট করে তিনি লেখেন, ইতিমধ্যেই ১৪৪৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। অন্তত ৫ লাখ মানুষের হাতে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি সারানোর টাকা, ২৩ লক্ষ ২৭ হাজার চাষিদের ফসলের ক্ষতির জন্য অনুদান এবং ২ লাখ পান চাষির হাতে ক্ষতিগ্রস্ত বরজের হাল ফেরানোর টাকা দেওয়া হয়েছে।

এই ঘোষণার পর রাহুল সিনহা কটাক্ষ করে বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা সামলাতে পারেননি বলেই, নজর ঘোরাতে চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এর আগে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন ভিন রাজ্য থেকে  ৫ লাখেরও বেশি শ্রমিক রাজ্যে এসেছে। এভাবে শ্রমিকদের পাঠানোয় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি। এবার সেই পরিযায়ীদের জন্য কেন্দ্রের কাছে টাকা চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী।