কলকাতা: ঝাড়খন্ডের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ধাক্কা খাওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ট্যুইট। শেষ খবর অনুসারে, প্রতিবেশী রাজ্যের কংগ্রেস-জেএমএম জোট ৪৭, বিজেপি ২৩টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী ট্যুইট করে জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেন, আরজেডি ও কংগ্রেসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। লিখেছেন, ঝাড়খন্ডের জনগণ আপনাদের দায়িত্বভার দিয়েছেন তাঁদের আশাআকাঙ্খা পূরণের জন্য। ঝাড়খন্ডের সব ভাইবোনের প্রতি আমার শুভেচ্ছা রইল। এবার নির্বাচন হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জী (এনআরসি) বিরোধী প্রতিবাদ, বিক্ষোভ চলার মধ্যে। এই রায় নাগরিকদের অধিকারের পক্ষেই।


ঝাড়খন্ডে বিজেপি শেষ পর্যন্ত হেরে ক্ষমতাচ্যুত হলে তার পিছনে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ইস্যুর কী প্রভাব থাকতে পারে, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের একাংশের মত, দেশব্যাপী সিএএ নিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি এই বার্তা পাচ্ছে ঝাড়খন্ডের ফল থেকে যে, এই ইস্যুর ছায়া পড়েছে ভোটের ফলে। কিন্তু বিজেপির শীর্ষ নেতা তথা মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান আজ জয়পুরে জানিয়েছেন, নাগরিকত্ব আইনের ওপর মানুষ রায় দেননি সেখানে। ঝাড়খন্ডে দলের ফল খারাপ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অগ্নিপরীক্ষায় পড়তে পারে কিনা, সাংবাদিক সম্মেলনে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, সেই প্রশ্নই উঠছে না। রাজ্যের নির্বাচন হয় স্থানীয় স্বার্থের ইস্যুর ওপরই।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গেও তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিজেপির হারের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) ইস্যুতে ভোটাররা আতঙ্কিত হয়েই বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করে কোনও বার্তা দিলেন কিনা, সেই প্রশ্ন উঠেছিল। বিজেপি অবশ্য এমন জল্পনা মানেনি।