রাঁচি: ঝাড়খন্ডে ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হওয়ার জল্পনার মধ্যেই এখনও পর্যন্ত একক বৃহত্তম দল বিজেপি। রাজ্যের শাসক দল মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাশকেই এবারও ওই পদে সামনে রেখে এবার ভোটে লড়েছিল। সর্বশেষ গতিপ্রকৃতি অনুসারে বিজেপি একা সবচেয়ে বেশি আসনে এগিয়ে থাকলেও পিছিয়ে রয়েছে বিরোধী কংগ্রেস-জেএমএমের তুলনায়। কিন্তু রঘুবরের এখনও দাবি, তাঁর দল লড়াই থেকে ছিটকে যায়নি, সরকারও গড়বে। তিন দফা ভোটগণনার পর রাঁচিতে তিনি বলেন, কোনও সিদ্ধান্তে এখনই পৌঁছে যাওয়া ভুল হবে। বিজেপি শেষ পর্যন্ত ভোটে জিতে ক্ষমতা ধরে রাখবে বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর দল বন্ধু দলগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং প্রাক্তন জোটসঙ্গীদের হাত ধরে ম্যাজিক সংখ্যা ৪১ পেরিয়ে যাবে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি। বলেন, বিজেপির নেতৃত্বেই সরকার হবে।
কংগ্রেস-জেএমএম জোট ৪২টি আসনে এগিয়ে আছে বলে আগের খবরের প্রেক্ষিতে তেজস্বী যাদব ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন, জোট নির্বাচনে ঝড় তুলে শাসক দলকে ধুয়েমুছে দেবে, জেএমএমের অস্থায়ী সভাপতি হেমন্ত সোরেনই মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন। বিরোধী নেতারা ইতিমধ্যেই বিজয়োত্সব শুরু করে দিয়েছেন বলে খবর আসতেই রঘুবরের কটাক্ষ, যে কেউ আনন্দ-উত্সব করতেই পারেন। কেউ আটকাতে পারে না। এটা গণতন্ত্র। কিন্তু জিতবে বিজেপিই।
এদিন সকাল থেকেই গণনার গতিপ্রকৃতিতে ঝাড়খন্ডে ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হওয়ার ইঙ্গিত মেলে। প্রায় সব এক্সিট পোলে তেমনই ইঙ্গিত ছিল। যদিও কারা সরকার গড়তে পারে, সে ব্যাপারে তারা ভিন্নমত জানায়।
গত লোকসভা ভোটে রাজ্যে ১৪টির মধ্যে ১১টি কেন্দ্রই বিজেপির ঝুলিতে যায়। সেই প্রেক্ষাপটে এবার এক্সিট পোলের পূর্বাভাস সত্যি হলে বিজেপির কাছে তা বড় ধাক্কা।