নয়া দিল্লি: লন্ডনে ইসকনের রেস্তোরাঁয় আমিষ খাওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। একটি ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।  

প্রসঙ্গত, বিশ্বজুড়ে ইসকনের একাধিক রেস্তোরা ছড়িয়ে রয়েছে। নিরামিষ এই রেস্তোরাঁ ‘গোবিন্দাস’ -এর মধ্যেই দাঁড়িয়ে আমিষ খেল এক যুবক। যা দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ ভক্তবৃন্দ। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক যুবক পিঠে একটি ব্যাগ নিয়ে রেস্তোরাঁর মধ্যে ঢুকছেন। 

এরপর ওই রেস্তোরাঁয় থাকা দুই খাবার বিক্রেতাকে ওই যুবক প্রশ্ন করছেন, এটা কি নিরামিষ রেস্তোরা? উত্তরে তাঁরা জানায়, হ্যাঁ। তারপরও সে প্রশ্ন করতে থাকে, তাহলে এই রেস্তোরাঁতে কোনও মাংস পাওয়া যায় না? দুই কর্মচারী আবারও তাঁকে জানায়, এখানে কোন আমিষ খাবার পাওয়া যায় না। তাঁদের থেকে উত্তরে না শুনেই হাসতে হাসতে নিজের ব্যাগ থেকে একটি কেএফসির প্যাকেট বের করে সেখান থেকে চিকেন খেতে শুরু করে সে।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্মীরা জানিয়ে দেন, এটি একটি সম্পূর্ণ নিরামিষ রেস্টুরেন্ট। এখানে আমিষ খাবার ছাড়া অন্য খাবার পাওয়া যায় না। এরপর ওই যুবক হঠাৎ করে নিজের সঙ্গে আনা ফাস্টফুড ব্র্যান্ডের চিকেন মিল বক্স বের করে প্রকাশ্যে খাওয়া শুরু করেন।

ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, যুবকের কান্ড দেখে রেস্টুরেন্টের কর্মীরা প্রথমে হতবাক হয়ে যান। পরে ওই যুবককে জায়গা ছেড়ে দিতে বলেন। কিন্তু তিনি তা মানতে চান না। উপরন্তু খাওয়া চালিয়ে যান এবং রেস্টুরেন্টের অন্যান্য কর্মীদের ও উপস্থিত সকল অতিথিদের ওই আমিষ খাবার খাওয়ার জন্য বলেন। এই আচরণে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ যুবকের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানান। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়। 

নিরামিষ এই রেস্তোরায় যেখানে বহু ভক্ত খাবার খেতে আসেন সেই রেস্তোরারই নিয়ম ভাঙলেন এই যুবক। যা দেখে বোঝাই যাচ্ছে সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃত। তবে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে কি না তা এখনও জানা যায়নি।

এদিকে এই ভিডিও দেখে একজন মন্তব্য করেছেন, “আশা করি স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জানি না এর জন্য তাকে গ্রেফতার করা যাবে কি না। তবে এটি হিন্দুদের প্রতি বিদ্বেষ।” 

অপর একজন লিখেছেন, “রেস্তোরাঁয় বাইরের খাবার আনা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। ইসকন প্রতিষ্ঠানে মাংস আনা কেবল অসম্মানজনকই নয় বরং আমরা যে নীতিগুলি মেনে চলি তাও লঙ্ঘন করে। আমাদের স্থান এবং সম্প্রদায়ের পবিত্রতা বজায় রাখার জন্য আমাদের অবশ্যই যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।”

ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। অনেকেই বলছেন, এটি শুধুমাত্র অসভ্যতা নয়, বরং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার নামান্তর।