পালঘর, মহারাষ্ট্র: ফের সঙ্গীর হাতে খুনের ঘটনা। লিভ-ইন পার্টনারকে খুনের (Man Kills Live-In Partner) অভিযোগ উঠল তাঁর পুরুষ সঙ্গীর বিরুদ্ধে। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) পালঘরের ঘটনা। নিহত মহিলা বছর আঠাশের।
অভিযুক্ত পুরুষ সঙ্গীটি বিবাহিত। অভিযোগ, খুন করতে এবং খুনের পরে দেহ লোপাট করতে ওই ব্যক্তিকে সাহায্য করেছে তার স্ত্রী। পালঘরে খুন করে পড়শি রাজ্য গুজরাতে (Gujarat) গিয়ে দেহ লোপাট করা হয়েছে। গুজরাতের ভালসারে একটি খাদে ফেলে দেওয়া হয় ওই মহিলার দেহ।
পুলিশ সূত্রের খবর, খুন হওয়া বছর আঠাশের ওই মহিলার নাম নয়না মাহাত। তিনি পেশায় ফিল্ম জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। একজন মেক-আপ আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করতেন তিনি। অভিযুক্ত ব্যক্তি মনোহর শুক্লার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই একটি সম্পর্কে ছিলেন তিনি। মনোহর কস্টিউম ডিজাইনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সূত্রের খবর, পাঁচ বছর ধরে তাঁরা সম্পর্কে ছিলেন। লিভ-ইন (Live in Partner Murder) করতেন নয়না ও মনোহর।
প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, মনোহর আগে থেকেই বিবাহিত ছিল। এদিকে নয়না মনোহরকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল। ফলে বিয়েতে রাজি হচ্ছিল ন মনোহর। এরপরেই মনোহরের বিরুদ্ধে বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ করেন নয়না। এমনটা জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। এরপরেই দুজনের মধ্যে গন্ডগোল লেগে থাকত। নয়নার উপর মনোহর চাপ দিত অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি নয়না, এরপরেই ওই তরুণীকে মেরে ফেলেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। পুলিশ সূত্রের খবর, হত্যার পরে স্ত্রীর সাহায্য চেয়েছিল মনোহর। স্ত্রী সাহায্যে একটি স্যুটকেসে দেহটি ভরে ফেলার পরে গুজরাতের ভালসারে দেহ ফেলে দেওয়া হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, ৯ অগাস্ট এই ঘটনাটি ঘটেছিল।
এরপর থেকে নয়নার খোঁজ পাচ্ছিল না তাঁর পরিবার। ১২ অগাস্ট, Naigaon থানায় নয়না মাহাতের নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করে পরিবার। তাঁর পরিবারের তরফে জানানো হচ্ছে, বহু চেষ্টা করেও নয়নার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না, তাঁর ফোনও বন্ধ বলছিল, এরপরেই পুলিশের কাছে নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করা হয়। এরপর গত মঙ্গলবার মনোহর শুক্লা এবং তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়। এরই পাশাপাশি জানা গিয়েছে, মনোহরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার একটি মামলাও দায়ের হয়ে রয়েছে Mira Bhayander-Vasai Virar পুলিশ এলাকায়।
আরও পড়ুন: যাত্রীবোঝাই বাসে ধাক্কা ট্রেলারের! মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ভরতপুরে