নয়াদিল্লি: নয় নয় করে প্রায় ২৫০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। গৃহহীন হয়ে গিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। সাম্প্রদায়িক হিংসায় পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। নারী নির্যাতন, খুন, লুঠ, কিছুই বাদ যায়নি। সেই নিয়ে এতদিন নীরব থাকলেও, বর্ষবরণের আগে মুখ খুললেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ। সবকিছু ভুলে নতুন করে শুরুর আবেদন জানালেন রাজ্যের বাসিন্দাদের। (Manipur Situation)
মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেন বীরেন। সাম্প্রদায়িক হিংসার জন্য প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি। জানান, আগের তুলনায় শান্তি ফিরেছে মণিপুরে। শীঘ্রই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশাবাদী তিনি। সকলকে একজোট হয়ে, শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাসে আহ্বান জানান। সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে উৎসাহ জোগান। (N Biren Singh)
এদিন বীরেন বলেন, "রাজ্যে যা হয়েছে, তার জন্য আমি দুঃখিত। বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, প্রিয়জনকে হারিয়েছেন। ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে বহু মানুষকে। আমি অনুশোচনা প্রকাশ করছি, ক্ষমা চাইছি। কিন্তু গত তিন-চার মাসে পরিস্থিতি তুলনায় শান্ত হয়েছে। তাই শীঘ্রই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশাবাদী আমি।"
বীরেন আরও বলেন, "যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। সকলকে অনুরোধ করছি, ভুল ক্ষমা করে দিন। ভুলে যান সবকিছু। নতুন করে জীবন শুরু করুন। সমৃদ্ধের পথে একসঙ্গে, শান্তিতে বাঁচুন।"
২০২৩ সালের মে মাস থেকে মণিপুর অশান্ত। যত সময় এগিয়েছে ছড়িয়েছে আগুন। কুকি এবং মেইতেই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে কার্যত জতুগৃহে পরিণত হয় মণিপুর। এমনকি রাজ্য থেকে গত কয়েক দিনেও প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়। গতকালও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করে ভারতীয় সেনা এবং অসম রাইফেলস। পিস্তল, রিভলভার, ব্যারেল গান ছাড়াও মেশিন গান, টিউব লঞ্চার, বিস্ফোরক, যুদ্ধের মতো সরঞ্জামও উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। এর আগে, অত্যাধুনিক বিদেশি অস্ত্রশস্ত্র, এমনকি রকেট লঞ্চারও উদ্ধার হয়।
লাগাতার মণিপুর থেকে অশান্তির খবর উঠে এসেছে। কিন্তু সেই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার মুখে কুলুপ এঁটেছে। সংসদে বিরোধীরা বার বার মণিপুর নিয়ে আলোচনা করতে চাইলেও, তা হয়নি। সেই আবহেই পরিস্থিতিতর জন্য ক্ষমা চাইলেন মণিপুরে বিজেপি-র মুখ্যমন্ত্রী বীরেন।