চান্দেল (মণিপুর) : অন্ততপক্ষে ১০ জঙ্গিকে এনকাউন্টারে নিকেশ করল অসম রাইফেলস। মণিপুরের চান্দেলের ঘটনা। সংবাদ সংস্থা PTI সূত্রের খবর। অভিযান এখনও চলছে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।
এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে সেনার ইস্টার্ন কমান্ড লিখেছে, "ভারত-মায়ানমার সীমান্তের কাছে চান্দেল জেলার খেংজয় তহসিলের নিউ সামতাল গ্রামের কাছে সশস্ত্র ক্যাডারদের গতিবিধি সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, স্পিয়ার কর্পসের অধীনে অসম রাইফেলসের একটি ইউনিট ১৪ মে অভিযান শুরু করে। অভিযান চলাকালীন, সন্দেহভাজন ক্যাডারদের কাছ থেকে জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। পাল্টা দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানায় অসম রাইফেলস। সুশৃঙ্খল এবং পরিমিত পদ্ধতিতে জবাব দেওয়া হয়। পরবর্তী গুলি বিনিময়ের সময়, ১০ জন ক্যাডারকে নিকেশ করা হয় এবং প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হয়েছে।"
গত দু’বছর ধরে সাম্প্রদায়িক অশান্তিতে তপ্ত মণিপুর। জমির অধিকার থেকে রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব, একাধিক ইস্যুতে কুকি বনাম মেইতেই সংঘর্ষ চলছে। সবমিলিয়ে সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ২৫০-র বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ঘরছাড়া হয়েছেন ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, খুন কিছু বাদ যায়নি উত্তর-পূর্বের রাজ্যটিতে।
গোটা ঘটনায় রাজ্যের তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের ভূমিকাও আতসকাচের নীচে চলে আসে। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের অনাস্থা প্রস্তাবের হুমকির পরই দিল্লি থেকে চাপ আসে তাঁর ওপর। সেই কারণেই জাতিগত হিংসা শুরুর ২ বছর পর পদত্যাগ করতে বাধ্য় হন সিং। পদত্যাপত্রে সিং লেখেন, “ মণিপুরের জনগণের সেবা করা সম্মানের বিষয়। প্রতিটি মণিপুরীর স্বার্থ রক্ষার জন্য সময়মতো পদক্ষেপ, হস্তক্ষেপ ও উন্নয়নমূলক কাজ এবং বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আমি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।"
তিনি ইস্তফা দেওয়ার পর রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয় রাজ্যে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৫৬-র আওতায় মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়, মণিপুরের রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতিকে একটি রিপোর্ট দেয়। সেই রিপোর্ট দেখে বোঝা যায়, রাজ্যে এই মুহূর্তে সাংবিধানিক শাসন চালানোর অবস্থা নেই। তাই সংবিধাের অনুচ্ছেদ ৩৫৬-র আওতায় প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হল। (Manipur Situation)