ইম্ফল : মণিপুরের বাড়ি থেকে অপহরণ করা হল এক সেনা আধিকারিককে। গত বছর মে মাস থেকে এই রাজ্যে হিংসা ছড়িয়ে পড়ার পর এটা চতুর্থ ঘটনা। খবর অনুযায়ী, থৌবাল জেলার বাসিন্দা জুনিয়র কমিশনড অফিসার কোসাম খেড়া সিংকে তাঁর বাড়ি থেকে অপহরণ করেছে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা। আজ সকাল ৯টা একটি গাড়িতে তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়।
খবর অনুযায়ী, অপহরণের খবর পাওয়ার পর JCO-র খোঁজে তল্লাশি অভিযানে নামে নিরাপত্তা এজেন্সিগুলো। ১০২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে যেসব গাড়ি যাচ্ছে সেগুলিকে চেক করা হচ্ছে। তবে, কী জন্য এই অপহরণের ঘটনা তা কারো জানা নেই। নিরাপত্তা বাহিনীর বিভিন্ন দল অপহৃত অফিসারের খোঁজে এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে অসম রেজিমেন্টের প্রাক্তন এক জওয়ানকে অপহরণ করা হয়েছিল। তাকে অজ্ঞাতপরিচয় সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা অপহরণ করেছিল। তাঁর মণিপুরের লেমাখঙ্গে ডিফেন্স সার্ভিস কর্পসে পোস্টিং ছিল। যখন তাঁকে অপহরণ করা হয়েছিল, সেই সময় তিনি পশ্চিম ইম্ফলে নিজের বাড়িতে ছুটি কাটাচ্ছিলেন।
দুই মাস পর, অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা চার জনকে অপহরণ করে। তাঁরা একটি SUV গাড়িতে করে চূড়াচন্দ্রপুর থেকে লিমাখঙ্গ যাচ্ছিলেন। তাঁদের চারজনকেই অপহরণ করে খুন করা হয়। তাঁরা জম্মু ও কাশ্মীরের পোস্টিংরত এক সেনা জওয়ানের পরিবারের সদস্য ছিলেন। ওই ঘটনায় জখম জওয়ানের বাবা কোনওরকমে পালান।
অপর একটি ঘটনায়, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ইম্ফল শহরে এক এএসপিকে অপহরণ করা হয়েছিল। পুলিশ এক্ষেত্রে অপহরণকারীদের শনাক্ত করে। তারা ছিল আরামবাই টেঙ্গোল।
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের (N Biren Singh) ফাঁকা পৈতৃক বাড়িতে হামলা চালানোর চেষ্টা করে একদল জনতা। ইম্ফলের শেষ প্রান্তে অবস্থিত ওই বাড়িতে হামলার চেষ্টা করা হয়। যদিও বাতাসে গুলি চালিয়ে উত্তেজিত জনতাকে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয় নিরাপত্তাবাহিনী। পরে মণিপুর পুলিশের তরফে x (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়, মুখ্যমন্ত্রীর নিজের বাড়িতে "জনতার হামলার খবর মিথ্যা এবং অপপ্রচারমূলক।"
ইম্ফলের মাঝখালে আলাদা এবং সুরক্ষিত একটি বাড়িতে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। সংবাদ সংস্থা PTI-কে এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, "ইম্ফলে হেনগ্যাঙ্গ এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীর পৈতৃক বাড়িতে হামলার একটা চেষ্টা চালানো হয়েছিল। কিন্তু, বাড়ির ১০০ থেকে ১৫০ মিটার আগেই জনতাকে থামিয়ে দেয় নিরাপত্তাবাহিনী।"