ইম্ফল : হিংসার (Violence) যেন শেষ নেই মণিপুরে (Manipur) ! এবার কুকি ও মেইতি সম্প্রদায়ের একে অপরকে লক্ষ্য করে গুলি। ঘটনায় অন্ততপক্ষে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং জখম হয়েছেন ১৮ জন। সংবাদ সংস্থা PTI সূত্রের খবর। মণিপুরের বিষ্ণুপুর (Bishnupur) ও চূড়াচাঁদপুর এলাকার ঘটনায় ২৯ অগাস্ট থেকে নতুন করে মণিপুরের পাহাড়ি এলাকা অশান্ত। পরিস্থিতি "সঙ্কটজনক" বলে মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং (CM Biren Singh)। তিনি জনগণের উদ্দেশে শান্তির আবেদন জানিয়েছেন।


নতুন করে গুলিগোলা শুরু হয়েছে চূড়াচাঁদপুর জেলার চিংপেই ও খোসাবুঙ্গ এলাকায়। খবর অনুযায়ী, গত ২৯ অগাস্ট খোরিনতাক এলাকায় গুলি বিনিময়ের জেরে গ্রামের ৩০ বছরের এক স্বেচ্ছাসেবক খুন হন। স্থানীয় স্তরে তৈরি একটি বন্দুক থেকে ভুল করে গুলি চলে যাওয়ায় আরও একজনের মৃত্যু হয়। গুলি ওই ব্যক্তির মুখে গিয়ে লাগে। পুলিশ আধিকারকরা জানাচ্ছেন, বিষ্ণুপুরের নারাইনসেনা এলাকায় একই দিনে ওই ঘটনা ঘটে। এরপর বৃহস্পতিবার চূড়চাঁদপুর ও ইম্ফল পশ্চিমের স্পর্শকাতর এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে নিরাপত্তাবাহিনী। সেই সময় ২০টি বিস্ফোরক সামগ্রী (যা সাধারণত পাইপ বোমা নামে পরিচিত), তিনটি বন্দুক ও ২০ রাউন্ড গুলি এবং প্রায় ৩০ গ্রাম গানপাউডার উদ্ধার হয়। 


অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মণিপুরের বিভিন্ন জেলায় ১৩০টি চেকপয়েন্ট ও নাকা পয়েন্টের ব্যবস্থা করা হয়। উপত্যকা ও পাহাড়ি এলাকা উভয় জায়গাতেই চলছে তল্লাশি। ফলে, ১৯০০র বেশি মানুষকে পাকড়াও করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জনসাধারণকে সংযত এবং সতর্ক থাকার আবেদন জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে। এর পাশাপাশি সোশাল মিডিয়ায় যেসব গুজব ছড়ানো হচ্ছে তাতেও যাতে কেউ কান না দেন তার আবেদন জানানো হয়েছে।


রাজ্যের এই কঠিন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। সামগ্রিক পরিস্থিতিকে তিনি "সঙ্কটজনক" বলেছেন। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যের এই পরিস্থিতিতে তাঁকে প্রতিটি পদক্ষেপ খুব সতর্কতার সাথে নিতে হচ্ছে। 


৩ মে হিংসা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে মণিপুরে ১৬০-এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য, পাহাড়ি এই রাজ্যে মেইতি সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছে প্রায় ৫৩ শতাংশ। যারা মূলত ইম্ফল উপত্যকায় বসবাস করেন। বাকি ৪০ শতাংশ নাগা ও কুকি সম্প্রদায়ের আদিবাসী মানুষ। যারা মূলত পাহাড়ি এলাকায় বসবাস করেন।