কলকাতা: ২১ জুন থেকে ১৮ ঊর্ধ্ব সবাইকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। আর ভ্যাকসিন কিনতে হবে না রাজ্যগুলিকে, ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী। বেসরকারি হাসপাতালে প্রতি ডোজে সার্ভিস চার্জ কমে হল ১৫০ টাকা। প্রধানমন্ত্রীর বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার ঘোষণার পর মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইট করে বলেন, "ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকে একাধিকবার আমি সবাইকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলাম। চার মাস পর অনেক চাপের পর তিনি শেষ পর্যন্ত আমাদের কথা শুনলেন। প্রধানমন্ত্রীর এই বিলম্বিত সিদ্ধান্তের জন্য অনেকগুলো প্রাণ চলে গেল।"



গতকাল, জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন ২১ জুন থেকে ১৮ ঊর্ধ্ব সবাইকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। এরপরই ট্যুইট করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, শুধু ফেব্রুয়ারি মাসই নয়, মে মাসে মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে ৩ বার নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ছারখার গোটা দেশ। আর এই আবহে ভ্যাকসিন নিয়ে হয়রানির ছবি উঠে এসেছে একাধিক রাজ্যে। বিরোধীদের লাগাতার আক্রমণ  থেকে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনা, এই দুইয়ের মুখে পড়েছে কেন্দ্র। একই দেশে, কেউ বিনামূল্যে পাবে, আর কাউকে পয়সা দিতে হবে - এই নিয়ম নিয়ে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারকে কড়া সুরে ভৎসনা করে সুপ্রিম কোর্ট। তারা বলে ১৮-৪৪ বছর বয়সিদের দাম দিয়ে ভ্যাকসিন নেওয়ার কথা বলেছে কেন্দ্র। ৪৫ ঊর্ধ্বদের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে বিনামূল্যে। কিন্তু, দুর্ভাগ্যের বিষয় হল ১৮-৪৪ বছর বয়সিদেরও করোনায় আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে করোনায় মারাও যাচ্ছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে ১৮-৪৪ বছরের জন্য কেন্দ্রের দাম দিয়ে টিকাকরণের নীতি দৃশ্যতই অযৌক্তিক এবং খামখেয়ালি মনোভাবের পরিচয় দিচ্ছে।


বিরোধীরা এর অনেক আগে থেকেই লাগাতার প্রশ্ন করে আসছে, কেন বাজেটে ভ্যাকসিনের জন্য বরাদ্দ ৩৫ হাজার কোটি টাকা দিয়ে সব দেশবাসীকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিচ্ছে না মোদি সরকার? এই প্রেক্ষাপটে অবস্থান পাল্টালেন নরেন্দ্র মোদি। এই প্রেক্ষাপটে ২১ জুন থেকে ১৮ বছরের উর্ধ্বে সবাইকে কেন্দ্র বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেবেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।