রোলঁ গ্যারোজ়: ক্লে কোর্টের রাজা বলা হয় তাঁকে। রেকর্ড ১৩ বার ফরাসি ওপেন জিতেছেন। চলতি ফরাসি ওপেনেও দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন তিনি। টুর্নামেন্টের তৃতীয় রাউন্ডে ব্রিটেনের ক্যামেরুন নরিকে কার্যত উড়িয়ে দিলেন তিনি। ক্লে কোর্টে তাঁর চিরাচরিত দাপট দেখিয়ে শেষ ষোলোয় পৌঁছে গেলেন রাফায়েল নাদাল।


২০১৯ সালের ফাইনালে ডমিনিক থিয়েমের কাছে সেট হারানোর পর আর রোলঁ গ্যারোজে একটিও সেটে হারেননি নাদাল। তৃতীয় বাছাই নাদাল সোমবার ৭-৫, ৬-৩, ৬-০ গেমে উড়িয়ে দেন টুর্নামেন্টে ১৮ নম্বর বাছাই সিনারকে। চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচ জিততে নাদালের সময় লেগেছ ২ ঘণ্টা ১৭ মিনিট। প্রথম সেটে ৩-৫ গেমে পিছিয়ে থাকার পর নাদাল নিজের খেলাকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যান। পরের ১৭টি গেমের মধ্যে ১৪টি তিনি জেতেন। সিনার জেতেন মাত্র ৩টি। একবার ছন্দ পেয়ে যাওয়ার পর আর কিছু ভাবতে হয়নি রাফাকে।


সোমবার ম্যাচের পর নাদাল বলেন, ‘‘আমি একটু বেশিই রক্ষণাত্মক হয়ে গিয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত যে জিততে পারলাম, তার জন্য ভাগ্যকে ধন্যবাদ। দ্বিতীয় সেটে ভাল খেলি। তবে দ্বিতীয় সেটে ৩-৪ অবস্থায় বেশ কিছু ভুল করে ফেলেছিলাম। কিন্তু তারপর সামলে নিই।’’


অন্যদিকে, সোমবার প্রথম দুই সেট হেরে যাওয়ার পর দারুণভাবে ফিরে এলেন। পরের দুই সেটে অনায়াস জয়ের পর ওয়াকওভার পেয়ে ফরাসি ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছলেন নোভাক জকোভিচ। ফরাসি ওপেনের চতুর্থ রাউন্ডে ইতালির ১৯ বছরের লোরেঞ্জো মুসেতির বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিলেন নোভাক জকোভিচ। উঠতি তারকার দাপটে ম্যাচের প্রথম দুটি সেট হেরে যান বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা। প্রথম দুটি সেট টাইব্রেকারে জেতেন মুসেতি। ফলাফল যথাক্রমে ৭-৬(৯-৭), ৭-৬ (৭-২)। তবে নিজের সব অভিজ্ঞতাকে ব্যবহার করে তৃতীয় সেটে জয় হাসিল করেন নোভাক। ৬-১ গেমে ওই মোকাবিলা জেতেন সার্বিয়ার তারকা। চতুর্থ সেট ৬-০ গেমে জিতে ম্যাচ সমতায় ফেরেন জকোভিচ।