আদালতকেও থোড়াই কেয়ার। ট্রাম্প নিজের মতেই অটল। আদালত কী বলল, কী বা আসে যায়! নয়া আরোপিত শুল্কনীতি থেকে এক পাও পিছু হঠছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট। দরকারে যাবেন উচ্চ আদালতে। শুক্রবার ট্রুথ সোশ্যালে সে-কথা স্পষ্ট করে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আদালতে বড় ধাক্কা খেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হালে বিভিন্ন দেশের উপর যেভাবে শুল্ক আরোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন, তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে চলছে তোলপাড়। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত বিশ্ব অর্থনীতিকে ওলট-পালট করে দিচ্ছে, এই বিষয়টা বেআইনি। এমনটাই জানিয়েছে আমেরিকার এক আপিল আদালত। তবে শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তে এখনই কোনও স্থগিতাদেশ জারি করা হয়নি। আর এই রায়ের পরে আরও গলা চড়িয়ে ট্রাম্প জানিয়ে দিয়েছেন, আদালতের এই কথা ঠিক নয়, তিনি রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানাবেন মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে।
ফেডারাল সার্কিট আপিল আদালত শুল্ক সংক্রান্ত মামলার রায়ে বলেছে, এই শুল্ক আরোপে ট্রাম্প তাঁর ক্ষমতার সীমা লঙ্ঘন করেছেন। তবে এরপরেও ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত ট্রাম্পের আরোপিত সমস্ত শুল্ক কার্যকর থাকবে। এই সময়ের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানানোর সুযোগ দেওয়া হবে ট্রাম্প প্রশাসনকে।
ট্রাম্প আদালতের রায়কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, সমস্ত শুল্কই এখনও বহাল রয়েছে। আপিল আদালত যা বলেছে তা ভুল। ওরাও জানে, শেষ পর্যন্ত আমেরিকা জিতবে। এই শুল্ক কখনও তুলে নিতে হলে, সেটা আমেরিকার জন্য বিপর্যয় হবে। অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে দেশ।
নরেন্দ্র মোদিকে বন্ধু বলে দাবি করেও সম্প্রতি, রাশিয়ার থেকে তেল কেনার জন্য দু’দফায় ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতকে তেল বিক্রির টাকাতেই রাশিয়া এখনও ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি হোয়াইট হাউসের। এই শুল্ক আরোপের ফলে ভারত - আমেরিকা বাণিজ্যে ব্যাঘাত ঘটছে, সেই সঙ্গে সম্পর্কেও তাল কেটেছে ভারত-আমেরিকার। সম্প্রতি এক জার্মান সংবাদপত্র দাবি করে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে গত কয়েক সপ্তাহে অন্তত চার বার ফোন করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু মোদি ফোন তোলেননি। ট্রাম্পের এই শুল্কনীতি তাঁর নিজের দেশেও সমালোচিত হয়েছে। কিন্তু সে-সবে আপাতত পাত্তা দিচ্ছেন না ট্রাম্প। তিনি এককাট্টা তাঁর সিদ্ধান্তেই।