দান্তেওয়ারাঃ নাশকতামূলক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকাকালীন যে স্কুলটি তাঁরা দু‘বার কার্যত ধ্বংস করে দিয়েছিল, স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার পর সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিই নতুন করে গড়ে তুলছেন তাঁরা। ছত্তিসগঢ়ের দান্তেওয়ারার প্রত্যন্ত এলাকায় একটি স্কুলকে নতুন করে সাজিয়ে তুলছেন আত্মসমর্পণকারী কিছু মাওবাদী। এই কাজে তাঁদের পূর্ণ সহযোগিতা করছে জেলা প্রশাসন।
দান্তেওয়ারা শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে জঙ্গলে ঘেরা মাসাপাড়ায় অবস্থিত স্কুলটি। ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী ওই এলাকার সাক্ষরতার হার ৪২ শতাংশ। স্বভাবতই এলাকাবাসীর কাছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির যথেষ্ট গুরুত্ব ছিল। কিন্তু এলাকায় মাওবাদী তৎপরতা বাড়তে থাকায় ২০০৮ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে দুবার নাশকতার শিকার হয় ওই স্কুলটি। মাওবাদীরা স্কুলটিকে কার্যত ধ্বংস করে দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা স্বাভাবিক জীবনে ফেরার পর বুঝতে পারেন স্কুলটির গুরুত্ব কতখানি। এখন তাঁরাই নতুন করে গড়ে তুলছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে। হলুদ, সবুজ, গোলাপী রঙে রাঙিয়ে তুলেছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে। সন্তু কুঞ্জাম নামে আত্মসমর্পণকারী এক মাওবাদী বলেন, ’’যে স্কুলটি ধ্বংস করেছিলাম, গত তিন মাসের চেষ্টায় সেটিকে আবার নতুন করে গড়ে তুলতে পেরেছি। এবার নিজেদের সন্তানকে ওই স্কুলে পাঠাব।‘‘
গত ১ জুলাই ১৮ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছেন। দান্তেওয়ারার পুলিশ সুপার অভিষেক জানান, তাঁরা রেললাইন, সেতু, স্কুল ভবন ধ্বংসের মতো বেশ কিছু নাশকতামূলক কাজ করেছেন। এখন তাঁরা রাজি হয়েছেন, তাঁরা যে জায়গাগুলির ক্ষতি করেছিলেন, সেগুলি পুনরায় গড়ে তুলবেন। পুলিশ সুপারের কথায়, ’’ওঁরা বলছেন, শিক্ষার কতখানি গুরুত্ব, আমরা এখন বুঝতে পারছি। তাই স্কুলটি নতুন করে গড়ে তুলছি।‘‘ স্কুল ভবনটি গড়ে তোলার প্রস্তাব পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে প্রকল্পটির অনুমোদন দিয়েছেন জেলাশাসক দীপক সোনি। তিনি বলেন, ’’আমরা বুঝতে পারছি, এখানে রাস্তাঘাটের খুব প্রয়োজন। শিশুদের পড়াশোনা এবং যুবকদের চাকরির প্রয়োজন। তাই আমরা সহায়তা করব।‘‘