ব্যাঙ্কক: বন্দুকবাজের (gunman) হামলায় (attack) রক্তাক্ত তাইল্যান্ডের (thailand) এক চাইল্ড কেয়ার সেন্টার (child care centre)। এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে অন্তত ৩৫ জনের প্রাণ গিয়েছে। নিহতদের মধ্যে অন্তত ২২ জন শিশু। পুলিশ জানাচ্ছে, অভিযুক্ত বন্দুকবাজ পরে বাড়ি ফিরে নিজের স্ত্রী এবং সন্তানকেও খুন করে। শেষ করেন নিজেকেও। ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছে তাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বে 'নং বুয়া লাম ফু' প্রদেশে। কোথা থেকে এমন হল, জানতে অবিলম্বে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রয়ুত চান-ও-চা।


কী ঘটেছিল?
পুলিশকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, 'নং বুয়া লাম ফু' প্রদেশের ওই চাইল্ড কেয়ার সেন্টারে হঠাৎই শটগান, পিস্তল এবং ছুরি হাতে চড়াও হয়েছিল বন্দুকবাজ। প্রথমে সেন্টারে চার-পাঁচ জন কর্মীর উপর হামলা চালায় সে। সে সময়ই এক শিক্ষিকার দেহেও গুলি লাগে বলে খবর। ওই শিক্ষিকা আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। এর পরই সেন্টারে এলোপাথারি গুলি। গোটা এলাকা যখন রক্তে ভাসছে তখন একটি পিক আপ ট্রাকে চেপে পালায় সে, আপাতত এমনই জানাচ্ছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। তবে হত্যালীলা এখানেই থামেনি তার। বাড়ি ফিরে প্রথমে স্ত্রী ও সন্তানকে খুন করে। তার পর আত্মঘাতী হয়। অভিযুক্ত বন্দুকবাজের নাম পানিয়া খামরাব বলে জেনেছে পুলিশ। বয়স ৩৪ বছর। কেন সে এমন করল সেটা জানতেই তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে এর মধ্যে যতটুকু জানা গিয়েছে, তাও কম হাড় হিম করা নয়। অতীতে পুলিশে কর্মরত ছিলেন খামরাব। কিন্তু গত বছর মাদক সংক্রান্ত সমস্যার জেরে তাঁকে তাঁকে বাহিনী থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। তবে কি সেই ঘটনার বদলা নিতেই ভয়ঙ্কর হত্যালীলা? নাকি মাদকের নেশার জের? নাকি নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে? 


কী পরিস্থিতি?
সংবাদংস্থা এপি-কে সে দেশের উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ডে কেয়ার সেন্টার থেকে বেরিয়ে গিয়েও গুলি চালানো বন্ধ করেনি খামরাব। নিজের গাড়ির ভিতর সিঁধিয়ে গিয়েও হামলা জারি রেখেছিল বেশ কিছুক্ষণ। ফলে আরও অনেকের দেহে গুলি লাগে। সব মিলিয়ে রক্তস্রোত। ঘটনাটি নিয়ে বেশ কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা যাচ্ছে, রক্তের নদীর মধ্যে সার দেওয়া দেহ শোয়ানো। উপরে চাদর চাপা দেওয়া।  বেশিরভাগই নিথর শিশুদের দেহ। গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত সাধারণ মানুষ। এমনিতে তাইল্যান্ডে বন্দুকবাজের হানা চেনা ঘটনা নয়। তবে বর্তমানে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার প্রবণতা অন্য দেশের তুূলনায় অনেকটাই বাড়ছে। ২০২০ সালেও কার্যত এক ঘটনা ঘটেছিল সে দেশে। সেনাবাহিনীর এক বিক্ষুব্ধ সদস্য এলোপাথারি গুলি চালিয়ে ২৯ জনকে মেরে ফেলে সে বার। তার পর এদিনের ঘটনা। তবে কি আগ্নেয়াস্ত্র আইন নিয়ে আরও বেশি কড়া হওয়া দরকার তাইল্যান্ড সরকারের? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এর মধ্যেই।


আরও পড়ুন:দশমীর বিসর্জনের সময় বচসা, পুলিশ কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ পুজো কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে