বেজিং : চিনে ভয়াবহ ভূমিকম্প । অন্ততপক্ষে ১১১ জনের মৃত্যু। শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। CCTV সূত্রের খবর, তীব্র কম্পনে চিনের গানসু প্রদেশে প্রায় ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম ২০-র বেশি। অন্যদিকে, কিংঘাইয়ের প্রতিবেশী প্রদেশ হাইডংয়ে আরও ১১ জনের মৃত্য়ু হয়েছে। সেখানে জখমের সংখ্যা ১০০। US Geological Survey-র তথ্য অনুযায়ীস কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৯।


ভূমিকম্পের জেরে তীব্র ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে পড়েছে বহু বাড়ি। নিরাপত্তার খোঁজে মানুষ এদিক ওদিক ছোটাছুটি শুরু করে দেন। নিউজ এজেন্সি  Xinhua সূত্রের খবর। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত চলে উদ্ধারকাজ। ভূমিকম্পের পর জীবিতদের উদ্ধারকাজ এবং তাঁদের সম্পত্তি রক্ষায় সর্বাত্মক চেষ্টার নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট শি জিপিং। সঙ্গে ত্রাণ পরিষেবাও। 


আগেও ভূমিকম্প-


গত বছর সেপ্টেম্বর মাসেও তীব্র ভূমিকম্পে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল চিনের বিস্তীর্ণ এলাকা। স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা বেজে ৫২ মিনিট নাগাদ কেঁপে ওঠে চিন (China Earthquake)। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৮। তাতে কমপক্ষে ৬৫ জনের মৃত্য হয়। চিনের ‘গ্লোবাল টাইমস’ সংবাদপত্র জানায়, এক ঘণ্টার মধ্যে সাত সাত বার কেঁপে ওঠে সিচুয়ান প্রদেশ (Sichuan Province)। তীব্র কম্পনের ফলে পার্বত্য এলাকায় জায়গায় জায়গায় ধস নামে। বিস্তীর্ণ এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় গোটা দেশের। 


স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল সিচুয়ান প্রদেশে, ভূগর্ভের ১০ কিলোমিটার গভীরে। চিন সরকার জানায়, সিচুয়ান প্রদেশের চেংদু শহরের ২২৬ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমের লুদিং পার্বত্য এলাকায় ভূমিকম্পের উৎপত্তি। তাতে ইয়াং এলাকায় ১৯ জনের মৃত্যু হয়। গাংচিতে মারা যান ২৯ জন। 


চেংদুতে একাধিক বাড়ি ভেঙে যায়। তার সংলগ্ন চোংকিং মেগাসিটিতেও ক্ষয়ক্ষতি হয় বিপুল। ধস নেমে বন্ধ হয়ে যায় রাস্তাঘাট। টেলিফোন থেকে ইন্টারনেট সংযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সেখানের সঙ্গে। ওই এলাকায় প্রায় ১০ হাজার মানুষের বাস। সেখানে বিদ্যুৎ পরিষেবাও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধারকার্যের নির্দেশ দেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।


২০২১ সালের মে মাসেও আচমকা ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে চিনের ইউনান প্রদেশ। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.১। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ববিদরা জানান, ভূমিকম্পের উৎসস্থল পর্যটনের জন্য বিখ্যাত দানি শহরের কাছে, মাটির ১০ কিলোমিটার (প্রায় ৬ মাইল) ভেতরে। রিখটার স্কেলে প্রথমে কম্পনের মাত্রা দেখিয়েছিল ৬.০। পরে সেটি আরও বাড়ে। ৬.১ হয়ে দাঁড়ায়।