Firecracker Factory Massive Fire : অন্ধ্রপ্রদেশের বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ। সূত্রের খবর, ঝলসে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৬ জনের। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ৪ জন মহিলা। আরও অন্তত ৮ জনের গুরুতর ভাবে জখম হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশের বি আর আম্বেদকর কোনাসীমা জেলায় ঘটেছে এই ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়তে পারে আহতের সংখ্যাও। বুধবার দুপুরে অন্ধ্রপ্রদেশের বাজি কারখানায় এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। আচমকা বিস্ফোরণের জেরে কারখানার ভিতরে আটকে পড়েন কর্মীরা। অনুমান করা হচ্ছে, হয়তো ধ্বংসস্তূপের তলায় এখনও অনেকে চাপা পড়ে রয়েছেন। জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। 

Continues below advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার সময় প্রায় ৪০ জন কাজ করছিলেন ওই বাকি কারখানার ভিতর। সামনের দিওয়ালি। তাই কাজের চাপ বেশি। প্রচুর বাজি তৈরি করতে হবে। তাই লোকও ছিলেন অনেকজন। বুধবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট নাগাদ লক্ষ্মী গণপতি ফায়ার ওয়ার্কস ফ্যাক্টরিতে বিস্ফোরণ হয়। এই বাজি কারখানা ভি সাভারাম জেলার রায়াভর ব্লকে অবস্থিত। বিস্ফোরণের সময় কারখানার ভিতর ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে কাজ করছিলেন কর্মীরা। প্রচুর দাহ্য পদার্থ, দাহ্য রাসায়নিক উপকরণ মজুত ছিল বাজি তৈরির জন্য। সেই কারণেই বিস্ফোরণের তীব্রতা অনেক বেশ হয়েছে। নিমেষে আগুন ছড়িয়ে পড়ে অনেকটা এলাকায়। বাজি কারখানার এই বিস্ফোরণে অনেকের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গুরুতর ভাবে জখম হয়েছেন অনেকেই। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁদের। আহতদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্ধ্রপ্রদেশের বাকি কারখানার এই ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এক্স মাধ্যমে পোস্ট করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দফতরের তরফে। আহতদের দ্রুত আরোগ্যও কামনা করা হয়েছে। 

স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথম ওই কারখানা থেকে প্রচুর ধোঁয়া বেরোতে দেখেন। তাঁরাই খবর দেন পুলিশ এবং দমকলে। তবে ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় দমকলবাহিনীকে। কারণ আগুনের তীব্রতা এবং ধোঁয়ার পরিমাণ এতটাই বেশি ছিল যে দমকলবাহিনী প্রাথমিক পর্যায়ে ঠিকভাবে কাজই করতে পারছিলেন না। পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দিতে বেশ সমস্যায় পড়তে হয় দমকলকর্মীদের। বাজি কারখানার এই বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে তদন্তকারী আধিকারিকদের অনুমান, সম্ভবত ওই বাজি কারখানায় সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না এবং বাজি তৈরির জন্য যেসব রাসায়নিক বা অন্যান্য উপকরণ, সামগ্রী আনা হয়েছিল, তা কর্মীরা ঠিকভাবে রাখেননি, ব্যবহার করেননি। আর সেই অসাবধানতাতেই ঘটে গিয়েছে এই ভয়ঙ্কর কাণ্ড।