লখনউ: পদ থেকে সরিয়েছিলেন আগেই। এবার ভাইপোকে দল থেকে বহিষ্কার করলেন বহুজন সমাজ পার্টি নেত্রী মায়াবতী। ভাইপো আকাশ আনন্দকে BSP থেকে বহিষ্কার করলেন তিনি। জানালেন, আকাশ 'স্বার্থপর' এবং 'অহঙ্কারী'। শুধু তাই নয়, আকাশ নিজের শ্বশুরমশাই আকাশ আনন্দের দ্বারা প্রভাবিত বলেও মত মায়াবতীর। মায়াবতীর এই পদক্ষেপে শুধুমাত্র দলের অন্দরেই নয়, শোরগোল উত্তরপ্রদেশের রাজনীতিতেও। (Mayawati Expels Nephew)


ভাইপোকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা নিজেই সকলকে জানিয়েছেন মায়াবতী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, 'গতকাল BSP-এর সর্বভারতীয় বৈঠক হয়।  শ্রী আকাশ আনন্দ দলের স্বার্থের চেয়ে শ্বশুর অশোক সিদ্ধার্থের স্বার্থ দেখছেন, ওঁর কথায় প্রভাবিত হচ্ছেন বলে ঠিক হয়। ওঁকে সর্বভারতীয় স্তরে দলের সবরকম দায়িত্ব থেকে মুক্ত করা হয়েছিল। অনুতপ্ত হয়ে আরও পরিণত আচরণ দেখানো উচিত ছিল ওঁর'। (Akash Anand)


মায়াবতী আরও লেখেন, 'তা না করে (অনুতপ্ত না হয়ে) আকাশ লম্বা-চওড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। রাজনৈতিক পরিপক্কতা নয়, ওঁর এই আচরণে শ্বশুরমশাইয়ের প্রভাব, স্বার্থপরতা, অহঙ্কারই ফুটে উঠেছে। এই ধরনের লোকজনকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। বাবাসাহেব আম্বেডকরের আত্মসম্মান, আত্মমর্যাদা, কাঁসীরামের অনুশাসন এবং পরম্পরার কথা মাথা রেখে, শ্বশুরের মতোই দলের স্বার্থে আকাশকে বহিষ্কার করা হল'। 





সপ্তাহান্তেই আকাশকে দল থেকে বহিষ্কার করেন মায়াবতী। তাঁর জন্য দলে বিভাজন সৃষ্টি হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। বিবৃতিতে মায়াবতী বলেন, 'দলকে দুর্বল করে দেওয়ার মতো জঘন্য কাজ করেছেন উনি (আকাশ)।  উত্তরপ্রদেশ-সহ সর্বভারতীয় স্তরে দলের মধ্যে দু'ভাগে দলকে ভাঙার চেষ্টা করেন'। এই আকাশকেই একসময় মায়াবতীর উত্তরাধীকারী বলে মনে করা হতো। অলিখিত ভাবে হলেও, দলের অন্দরেও সেই ধারণাই তৈরি হয়েছিল। 


কিন্তু বিভিন্ন ইস্যুতে মায়াবতী এবং আকাশের মতের মিল হচ্ছিল না। এমনকি গত বছর মে মাসেও আকাশকে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে দেন মায়াবতী। আকাশকে তিনি 'অপরিণত' বলেও কটাক্ষ করেন। যদিও একমাস পর আবার আকাশকে দলের সর্বভারতীয় আহ্বায়ক ঘোষণা করেন মায়াবতী। ফলে আকাশই যে মায়াবতীর উত্তরাধিকারী হতে চলেছেন, সেই জল্পনায় সিলমোহর পড়ে যায় একরকম ভাবে। কিন্তু এবার দল থেকেই আকাশকে বহিষ্কার করলেন মায়াবতী।