কেন্দ্র সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করায় প্রথম যারা তা সমর্থন করেছিল, তাদের অন্যতম বসপা। আজ এই অবস্থানের পক্ষে সওয়াল করে মায়াবতী ট্যুইট করেন, এটা সবার জানা যে, বাবাসাহেব ডঃ ভীমরাও অম্বেডকর সমতা, দেশের ঐক্য ও সংহতির পক্ষপাতী ছিলেন। তাই তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য পৃথক ৩৭০ অনুচ্ছেদে তাঁর সমর্থন ছিল না। সে কারণেই বসপা সংসদে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের প্রস্তাবে সায় দেয়।
শনিবার রাহুল গাঁধী সহ ১২ বিরোধী নেতা শ্রীনগর গেল বিমানবন্দরেই তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। ফিরতি বিমানে তাঁদের নয়াদিল্লি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মায়াবতীর মত, জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে একটু সময় লাগবে। রাহুল ও বিরোধী নেতাদের শ্রীনগর রওনা হওয়ার আগে এটা ভেবে দেখা উচিত ছিল। তিনি ট্যুইট করেছেন, কিন্তু সংবিধান রূপায়ণের প্রায় ৬৯ বছর বাদে ৩৭০ অনু্চ্ছেদ বাতিল হওয়ার পর সেখানে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরতে কিছুটা সময় লাগবে। সেজন্য একটু অপেক্ষা করাই শ্রেয়। মহামান্য আদালতও কথাটা মেনেছে। এই অবস্থায় বিনা অনুমতিতে কংগ্রেস ও বিরোধী নেতাদের কাশ্মীর যাত্রা কি কেন্দ্র ও রাজ্যের রাজ্যপালকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিচ্ছে না? ওখানে যাওয়ার আগে তাঁরা এটা ভেবে দেখলেই ভাল হোত।
গত শনিবার বিরোধী নেতাদের শ্রীনগরে ঢোকার অনুমতি না দেওয়া নিয়ে প্রবল অসন্তোষ জানিয়ে সিপিএম পলিটব্যুরো সংবিধানে সুরক্ষিত ‘অধিকার দিনের আলোয় ছিনতাই করা হল’ বলে মন্তব্য করেছে। শ্রীনগর বিমানবন্দরের ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে কংগ্রেস যাতে দেখা যাচ্ছে রাহুল প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে যেতে দেওয়ার দাবির ব্যাপারে কথা বলছেন। রাহুলকে বলতে শোনা যাচ্ছে, রাজ্যপাল বলেছেন, আমায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তাই আমি এসেছি। তাও আপনারা বলছেন, আমি আসতে পারব না! সরকার বলছে, সব ঠিকঠাকই আছে। তা-ই যদি হবে, তাহলে কেন আমাদের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না?