নয়াদিল্লি : "তুরস্কের ড্রোন দিয়ে হামলা চালাচ্ছে পাকিস্তান। ওরা ভারতের আকাশসীমা একাধিকবার লঙ্ঘন করেছে। ৩০০ থেকে ৪০০টি ড্রোন দিয়ে হামলার চেষ্টা করা হয়েছে গতরাতে। কিন্তু, পাকিস্তানের চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে। বেশিরভাগ ড্রোনই ধ্বংস করে দিয়েছে ভারত।" ভারতের নিরাপত্তাবাহিনী ও বিদেশ মন্ত্রকের তরফে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানালেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি।

Continues below advertisement

কর্নেল সোফিয়া কুরেশির কথায়, "৭ ও ৮ মে রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী সামরিক পরিকাঠামোকে টার্গেট করার উদ্দেশ্যে সমগ্র পশ্চিম সীমান্ত জুড়ে বেশ কয়েকবার ভারতীয় আকাশসীমা লঙ্ঘন করে। শুধু তাই নয়, পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারী ক্যালিবার অস্ত্রও ছুঁড়েছে। ৩৬টি স্থানে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করার জন্য প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এই ড্রোনগুলির অনেকগুলিকে গুলি করে মাটিতে নামিয়েছে। এত বড় আকারে আকাশপথে অনুপ্রবেশের সম্ভাব্য উদ্দেশ্য ছিল বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পরীক্ষা করা এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা। ড্রোনগুলির ধ্বংসাবশেষের ফরেনসিক তদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে যে, এগুলি তুর্কি অ্যাসিসগার্ড সোঙ্গার ড্রোন।" India-Pakistan Conflict

 

Continues below advertisement

এই পরিস্থিতিতে "পাকিস্তান তাদের কর্মকাণ্ডের দায় স্বীকার করার পরিবর্তে, হাস্যকর এবং জঘন্য দাবি করেছে যে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীই অমৃতসরের মতো তাদের নিজস্ব শহরগুলিকে লক্ষ্য করে পাকিস্তানকে দোষারোপ করার চেষ্টা করছে।" জানান ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রী। তাঁর সংযোজন, "ওরা ওদের ইতিহাসের সাক্ষী হিসেবে এই ধরনের কর্মকাণ্ডে পারদর্শী... পাকিস্তান এই মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে যে ভারত ড্রোন হামলার মাধ্যমে নানকামা সাহিব গুরুদ্বারকে টার্গেট করেছে, যা আরেকটি স্পষ্ট মিথ্যা। পাকিস্তান সাম্প্রদায়িক বিভেদ তৈরির উদ্দেশ্যে পরিস্থিতিকে সাম্প্রদায়িক রং দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা করছে।"