নয়াদিল্লি: বারবার করোনা চিকিৎসাব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের সুরক্ষার ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক শ্রেণীর ক্ষোভের শিকার হচ্ছেন ডাক্তাররা। এমনটাই অভিযোগ আনল এইমসের রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। এইমসের চিকিৎসকরা বহুবার পিপিই, কোভিড ১৯ এর টেস্ট কিট, কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রশ্ন তোলেন। তার ফলেই তাঁদের বিরুদ্ধে একদল সোশ্যাল মিডিয়ায় তোপ দাগছে বলে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন তাঁরা।
করোনার পরিস্থিতিতে মোদি সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করে চিঠিতে তাঁরা লিখেছেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা কর্মীরা ক্রমাগত পর্যাপ্ত পরিমানে পিপিই, করোনা পরীক্ষার কিট-এর যোগান নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। সরকারি আধিকারিকরা যেন গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখেন, চিঠিতে আর্জি এইমস আরডিএ প্রেসিডেন্ট আদর্শ প্রতাপ সিংহ এবং রাজকুমার টি-র। প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে তাঁদের অভিযোগ, নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে চলা স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশংসা না করে, তাঁদের কঠোর সমালোচনা করা হচ্ছে। তাই সরকার যেন এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য’সেনা’দের কথা শোনেন ও তাঁদের মতামতের মূল্য দেন।
কঠিন এই পরিস্থিতিতে সরকার যেন গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসকদের কথা শোনেন, এবং তাঁদের সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনার জন্য সুস্থ পরিবেশটুকু বজায় রাখেন, আর্জি চিকিৎসকদের। চিঠিতে বলে হয়েছে, তাঁদের উপর থেকে সবরকম শাস্তি তুলে নিয়ে, প্রাপ্য সম্মানটুকু দেওয়া হোক।
অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সফদরজং হাসপাতালের নামে একটি বিজ্ঞপ্তি খুবই প্রচার পেয়েছে। সেই নোটিসে দাবি, হাসপাতালে পিপিই কিট, এন-৯৫ মাস্ক, ট্রিপল লেয়ার মাস্কের ঘাটতি আছে। তাই এই জিনিসগুলি পারলে দান করুন মেডিক্যাল সুপারিনটেনডেন্টের অফিসের মারফত।
কিন্তু আপাতত এসবের কোনও ঘাটতি নেই বলে দাবি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।তাদের দাবি এগুলি সেই সব এনজিও-র জন্য যাঁরা এগুলি দেওয়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করেছল। কিন্তু সোশ্য়াল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে একটি ভুয়ো নোটিশ। যেখানে অ্যাকাউন্ট নম্বরও জুড়ে দেওয়া হচ্ছে।
এ ধরনের কোনও অ্যাকাউন্ট নম্বর হাসপাতালের তরফে দেওয়া হয়নি বলেই দাবি।