লন্ডন: রাজপরিবারের আভিজাত্য, নিয়মরীতির লক্ষণরেখা ডিঙিয়ে একান্ত ব্যক্তিগত শোক, যন্ত্রণার কথা প্রকাশ্যে মেলে ধরলেন ব্রিটেনের ডাচেস অব সাসেক্স মেঘান। প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী প্রাক্তন অভিনেত্রী দি নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ বুধবার প্রকাশিত নিবন্ধে লিখেছেন, তাঁকে একবার গর্ভপাত করাতে  হয়।  মেঘান লিখেছেন, জুলাইয়ের এক সকালে তিনি ছেলে আর্চির যত্ন করছিলেন।  তখনই ঘটনাটা ঘটে। আর্চিকে বিছানা থেকে তোলার সময় তীব্র খিঁচুনি অনুভব করে তাঁকে শুদ্ধ কোলে আঁকড়ে ধরে মেঝেতে পড়ে যান।  তবে দুজনকেই শান্ত রাখতে ঘুমপাড়ানি গান গাইতে থাকেন যন্ত্রণার মধ্যেও। এর কয়েক ঘন্টার মধ্যেই হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কীভাবে তিনি ও তাঁর স্বামী চোখের জলে ভেসে গিয়েছিলেন, তারও উল্লেখ করেছেন মেঘান।  একটা সন্তান গর্ভেই নষ্ট হওয়া এক অসহনীয় বেদনা। অনেকেরই এই অভিজ্ঞতা হয়, কিন্তু খুব  কমসংখ্যক মেয়েই কথাটা বলেন। মেঘান আরও লেখেন, এই শোক চেপে রেখেই নিয়েই আমি এবং আমার স্বামী লক্ষ্য় করি একটা ঘরে ১০০-র মধ্য়ে ১০ থেকে ২০ জন মহিলার গর্ভপাত হয়েছে। কিন্তু দুঃখ, যন্ত্রণার রং এক হওয়া সত্ত্বেও এ নিয়ে কথা বলতে সংকোচ বোধ করেন অনেকেই। অবাঞ্ছিত লজ্জাভয়ে নিঃশব্দে একাই চোখের জল ফেলেন।


চলতি বছর থেকে আমেরিকায় থাকছেন ব্রিটিশ রাজপুত্র হ্য়ারি ও মেঘান। ব্রিটেনের রাজপরিবারের নিয়মের বেড়াজাল থেকে বেরিয়ে নতুন নজির তৈরি করলেন মেঘান। কারণ, ব্য়ক্তিগত জীবন নিয়ে প্রকাশ্য়ে কথা বলতে নারাজ রাজপরিবারের সদস্য়রা। হ্য়ারির ঠাকুমা তথা রানী এলিজাবেথ কোনওদিন ব্য়ক্তিগত জীবন নিয়ে নিজের ৬৮ বছরের জমানায় সংবাদ মাধ্য়মে মুখ খোলেননি।


হ্যারির বড়দাদা প্রিন্স উইলিয়াম ও তাঁর স্ত্রী কেট লন্ডন হাসপাতালের বাইরে টিভি ক্যামেরা, আলোকচিত্রীদের সামনে এসেছিলেন। সেখানে কেট তাঁর তিন-তিনটি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। প্রতিবারই সদ্যভূমিষ্ঠ সন্তানকে নিয়ে মিডিয়ার মুখোমুখি হয়েছেন। যদিও তাঁরা নিজেদের সাংসারিক জীবন সম্পর্কে একটি কথাও কখনও প্রকাশ্যে আনেননি।