নয়াদিল্লি: প্লাস্টিকের তৈরি জাতীয় পতাকা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেন্দ্র। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই স্বাধীনতা দিবস। তার আগেই বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে প্লাস্টিকের তৈরি জাতীয় পতাকার ব্যবহার কমানোর নির্দেশ দেওয়া হল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে। পরিবেশের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। প্লাস্টিকের তৈরি পতাকা বহুদিন পর্যন্ত ডিকম্পোজ করে না অর্থাৎ তাতে পচন ধরে না। ফলে সেগুলির যথাযথ নিষ্পত্তিতে সমস্যা হয়। এর আগেও অবশ্য কেন্দ্র এই ধরণের নির্দেশ দিয়েছিল।


'জাতীয় পতাকার প্রতি সর্বজনীন স্নেহ, শ্রদ্ধা এবং আনুগত্য রয়েছে। তবুও জাতীয় পতাকা প্রদর্শনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আইন, চর্চা ও রীতিতে সাধারণ মানুষ এবং একইসঙ্গে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি সংস্থার মধ্যে প্রায়ই সচেতনতার অভাব লক্ষ্য করা যায়,' সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের।


বিভিন্ন জাতীয়, সাংস্কৃতিক এবং ক্রীড়া অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের পতাকা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মন্ত্রক, কারণ প্লাস্টিক ব্যবহারের পর তা সঠিক নিষ্পত্তিতে রীতিমতো সমস্যার সৃষ্টি হয়।


'যেহেতু, প্লাস্টিকের পতাকা অন্যান্য কাগজের তৈরি পতাকার মতো বায়ো-ডিগ্রেডেবল নয়, ফলে সেগুলিতে অনেকদিন পর্যন্ত পচন ধরে না এবং এর ফলে প্লাস্টিকের তৈরি পতাকার যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে সঠিক নিষ্পত্তি ঘটানো রীতিমতো সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়,' বক্তব্য মন্ত্রকের।


'তাই আপনাদের অনুরোধ করা হচ্ছে যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ জাতীয়, সাংস্কৃতিক এবং ক্রীড়া অনুষ্ঠানে, 'ফ্ল্যাগ কোড অব ইন্ডিয়া ২০০২' অনুযায়ী জনগণ যেন শুধুমাত্র কাগজের তৈরি পতাকাই ব্যবহার করেন এবং সেই কাগজের পতাকাগুলি যেন অনুষ্ঠানের পর মাটিতে ফেলে না দেওয়া হয়,' চিঠিতে আরও সংযোজন মন্ত্রকের।


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশ, ভারতের জাতীয় পতাকার যথাযথ মর্যাদা দিয়ে এইগুলিকে ব্যক্তিগতভাবে নিষ্পত্তি করতে হবে। বিভিন্ন খবরের কাগজ ও টিভি চ্যানেলে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্লাস্টিকের তৈরি পতাকা বর্জনের বার্তা প্রচারেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারগুলিকে।


কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক চিঠির সঙ্গে 'দ্য় প্রিভেনশন অব ইনসাল্টস টু ন্যাশনাল অনার অ্যাক্ট, ১৯৭১' এবং 'ফ্ল্যাগ কোড অব ইন্ডিয়া, ২০০২'-এর কপিও পাঠিয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে, যেগুলি জাতীয় পতাকা প্রদর্শন পরিচালনা করে।