নয়াদিল্লি: ফিরে এল গত বছরের স্মৃতি। আবারও দেশের বড় বড় রেলস্টেশন থেকে বাস টার্মিনাস, ভিড় জমতে শুরু করেছে পরিযায়ী শ্রমিকদের। আজ, সপ্তাহের প্রথম দিন গত বছরের সেই চেনা ছবি দেখা গেল দিল্লির রাস্তায়। এদিন দিল্লির আনন্দ বিহার টার্মিনালে নিজেদের বাড়ি ফেরার জন্য ভিড় জমিয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা।


গত বছর মার্চ মাসে দেশজুড়ে জারি করা হয় লকডাউন। লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার ছবিটা সবারই জানা। একাংশের পরিযায়ী শ্রমিকরা দিল্লি থেকে বিভিন্ন রাজ্যে ফিরেছেন। মাইলের পর মাইল হেঁটে বাড়ি ফিরেছেন তাঁরা। কেউ কেউ আবার নিজের ঘর পর্যন্ত পৌঁছতে পারেননি। ঘরমুখী শ্রমিকদের অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে রাস্তাতেই।  অনাহারে, অসুস্থ হয়ে অথবা দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন এমন শ্রমিকের সংখ্যা নেহাত কম নয়। গোটা দেশজুড়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশার খণ্ডচিত্র ছড়িয়ে আছে।


চলতি বছর ফের বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ। যদিও লকডাউনের কোনও ইঙ্গিত এখনও পর্যন্ত দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার। তাও সময় থাকতেই নিজেদের রাজ্য বা দেশে ফিরছেন পরিযায়ী শ্রমিকদের একাংশ। এদিন দিল্লির আনন্দ বিহার টার্মিনালে নেপালের এক বাসিন্দা নবীন এদিন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আমি দিল্লিতে চাকরি করতাম। আপাতত কাজ বন্ধ। তাই এই সময় এখানে থাকার থেকে বাড়ি ফিরে যাওয়া ভাল।


উল্লেখ্য গত বছর সংসদের বাদল অধিবেশনে কেন্দ্র জানায় পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যু সংখ্যা নিয়ে কোনও তথ্য নেই। বিরোধীদের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় শ্রম এবং কর্মসংস্থান মন্ত্রক জানিয়েছিল, লকডাউন চলাকালীন কত জন পরিযায়ী শ্রমিক মারা গিয়েছেন সেই পরিসংখ্যান নেই। পরিসংখ্যান যেখানে নেই সেখানে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রশ্ন উঠছে না। পাশাপাশি জানানো হয়েছে, এই সময় কালে দেশজুড়ে কত জন কাজ হারিয়েছেন, সেই হিসেবও রাখা হয়নি।


এদিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৭৩ হাজার ৮১০ জন। মৃত্যু হয়েছে ১,৬১৯ জনের। ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ১৭৮ জনকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৫০ লক্ষ ৬১ হাজার ৯১৯ জন। অ্যাক্টিভ কেস ১৯ লক্ষ ২৯ হাজার ৩২৯। মোট সুস্থতার সংখ্যা ১ কোটি ২৯ লক্ষ ৫৩ হাজার ৮২১। মোট মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৭৬৯।