নয়াদিল্লি: বড় আকারে কোনও লকডাউন ঘোষণা করবে না কেন্দ্র। গত সপ্তাহেই তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। সেই সুরেই আজ জানিয়ে দিলেন, করোনা পরিস্থিতিতে জীবন এবং জীবিকা বাঁচানোর জন্য রাজ্যগুলির সঙ্গে একযোগ কাজ করে যাবে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের বণিক মহলের সঙ্গে কথা বলার পরই একথা জানান তিনি।
করোনার প্রথম কোপ কাটিয়ে এখনও পুরোপুরি চাঙ্গা হয়নি দেশের অর্থনীতি। এরই মধ্যে এসে গিয়েছে দ্বিতীয় ঢেউ। যা আবার আরও বেশি সংক্রামক। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কাজে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। ফলে, নতুন করে আবার একবার দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় বড়সড় আঘাতের আশঙ্কা রয়েছে। এরমধ্যে গতবারের মতো লকডাউন ঘোষণা হলে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে পড়বে। সেই উদ্বেগের কথা আঁচ করেই গত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, বড়সড় কোনও লকডাউনের পথে যাবে না সরকার।
এদিকে বিভিন্ন রাজ্যের পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিতে যাতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কোনও প্রভাব না পড়ে তার জন্য ব্যবসায়ীদের ফিডব্যাক চেয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী। কথা বলেন টাটা স্টিলের এমডি টি ভি নরেন্দ্রন, এল অ্যান্ড টি-র চেয়ারম্য়ান এ এম নায়েক, টিসিএস-এর এমডি রাজেশ গোপীনাথন, মারুতি সুজুকি-র চেয়ারম্য়ান আর সি ভার্গভ, টিভিএস গ্রুপের চেয়ারম্য়ান ভেণু শ্রীনিবাসন, হিরো মোটো কর্প এর এমডি পবন মুঞ্জালের সঙ্গে।
তাঁদের সঙ্গে কথা বলার পর টুইটারে নির্মলা জানান, প্রত্যেক বণিক মহল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ফোনে কথা বললাম। তাঁদের জানিয়েছি করোনা মোকাবিলায় ভারত সরকার বিভিন্ন স্তরে কাজ করছে। মানুষের জীবন এবং জীবিকা বাঁচাতে বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে একযোগে কাজ চলবে।
গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, করোনা পরিস্থিতিতে বড় আকারে লকডাউন না করে স্থানীয়স্তরে কনটেনমেন্টের ব্যবস্থা করবে সরকার। প্রসঙ্গত, দিল্লিতে আজ রাত ১০টা থেকে সোমবার সকাল পাঁচটা পর্যন্ত ছয়দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।