কলকাতা: যোগীর রাজ্যে পুলিশি হেফাজতেই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে খুন গ্যাংস্টার। শনিবার রাতে আতিক আহমেদ এবং এবং তাঁর ভাইকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয়। একদিকে একঝাঁক ক্যামেরা এবং পুলিশ- তার সামনেই এভাবে জোড়া খুন নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য় রাজনৈতিক মহলে।
এই ঘটনা যোগী রাজ্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সিবিআই তদন্তের দাবি করলেন রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। ট্যুইট করে তাঁর দাবি, 'এটা স্পষ্ট যে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ৩ আততায়ীকে খুনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সুযোগ করে দিয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন হামলা। অথচ আততায়ীদের উপর একজন পুলিশকর্মীও গুলি চালালেন না। আইন কেউ নিজের হাতে নিতে পারে না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বা মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথও পারেন না আইন হাতে নিতে। দেখে মনে হচ্ছে যেন তালিবানি রাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রীর উচিত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া।'
ছেলে আসাদের এনকাউন্টারের পর এবার গ্যাংস্টার আতিকেরও মৃত্যু। প্রয়াগরাজে মেডিক্যাল করাতে আনার সময় আতিক আহমেদের উপর হামলা। পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীনই আতিককে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয়। গুলি করা হয়ে আতিকের ভাই আশরফকেও। মৃত্যু নিশ্চিত করতে আতিক ও আশরফের উপর গুলিবৃষ্টি আততায়ীদের। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু গ্যাংস্টার তথা প্রাক্তন সাংসদ আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাই আশরফের। সাংবাদিক সেজে হামলা করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। খুনের পরই আত্মসমর্পণ ৩ দুষ্কৃতীর, আতিক ও আশরফ খুনের পর প্রয়াগরাজ জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি। ১৭ পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করেছে যোগী-প্রশাসন।
ট্যুইট কৈলাসের:
আতিক-খুনে বিরোধীরা যোগী-প্রশাসনকে নিশানা করলেও তাৎপর্যপূর্ণ ট্যুইট বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র। ট্যুইটে তিনি বলেছেন, 'ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গীতায় বলেছেন, রাক্ষসের সংহার হলে পৃথিবীর ভার লাঘব হয়।'
নিশানা অখিলেশ যাদবেরও:
আতিক খুনে নাম না করে যোগী প্রশাসনকে নিশানা অখিলেশ যাদবের। 'উত্তরপ্রদেশে অপরাধ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে, পুলিশের হেফাজতে থাকা ব্যক্তিকেও যদি প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হয়, তবে সাধারণ মানুষের কী হবে? মানুষের মনে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি হচ্ছে, মনে হয় কেউ কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে এমন বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছে,' ট্যুইট সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের।