ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী এবং সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: POS মেশিন দিয়ে পার্কিং-ফি তোলার কথা। কিন্তু, কলকাতার (Kolkata) যত্রতত্র পার্কিং-ফি (Parking Fee) তোলা হচ্ছে কুপন বা চিরকুট দিয়ে। গড়িয়াহাট থানার (Gariahat Police Station) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন এক পার্কিংকর্মী। সবাই যেন POS মেশিন ব্যবহার করেন, তা দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার।             

  


নিয়ম বলে কি কিছুই থাকবে না? অতিরিক্ত পার্কিং ফি নেওয়া হচ্ছে, বেআইনি পার্কিং হচ্ছে। টাকাও তোলা হচ্ছে চিরকুটে। কলকাতা পুলিশ ও কলকাতা পুরসভার নিয়ম অনুযায়ী, পার্কিং জোনে পয়েন্ট অফ সেল বা POS মেশিন দিয়ে টাকা তোলার কথা। কিন্তু, কলকাতার যত্রতত্র পার্কিং-ফি তোলা হচ্ছে কুপন বা চিরকুট দিয়ে।


মিডলটন রো-র এই পার্কিংয়ে আসতেই আমাদের গাড়ির সামনে চলে এলেন এখানকার কর্মী। গাড়ির সামনে লাগিয়ে দিলেন একটি চিরকুট। এরপর শম্ভুনাথ পণ্ডিত স্ট্রিটে। এখানে আবার নতুন পদ্ধতি। গাড়ির কাচের ধুলোয় সাংকেতিংভাবে কিছু একটা লিখলেন পার্কিংকর্মী। রাসবিহারী অ্যাভিনিউ এবং লেক রোডেও একই ছবি। রাস্তার পাশে গাড়ি দাঁড় করাতেই পার্কিং কর্মী এসে চিরকুট লাগিয়ে দিলেন। শরৎ চ্যাটার্জি অ্যাভিনিউতে আবার, পার্কিংকর্মী POS মেশিনটাই বন্ধ করে রেখেছেন।


পার্কিং ফি নিয়ে এই ছবি দেখে মনে হয়, বেনিময়টাই হয়তো এই শহরের নিয়ম। কিন্তু, কাদের অঙ্গুলিহেলনে চলছে এই অনিয়ম? কারা নাড়ছে কলকাঠি?  নেপথ্যে কারা? 


এর সঙ্গে রয়েছে ফুটপাত দখল। ফুটপাত দখল করেই, ব্যবস্থা করা হয়েছে বাইক পার্কিংয়ের। ফুটপাত না পেয়ে মানুষকে নামতে হচ্ছে রাস্তায়। বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। কিন্তু, তাতে কী? পকেট তো ফুলে ফেঁপে উঠছে। পিছনে কাজ করছে কিছু অদৃশ্য হাত।


আরও পড়ুন, ফের দাপট দেখাবে শুষ্ক আবহাওয়া, বৃষ্টির সম্ভাবনা কি আছে ?


রাস্তার উল্টোপারে নেতাজি সুভাষ রোডে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা।ডবল লাইন করে গাড়ি রাখা রয়েছে, নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছেন ট্যাক্সিচালক। পিছনের গাড়ির চালকও পা তুলে শুয়ে রয়েছেন। এই রাস্তা ধরে এগিয়ে গেলে, পরের মোড়েও একই ছবি। 


এদিকে, কমিশনার বিনীত গোয়েল বলেন, 'আমরা নিয়মিত পুরসভার সঙ্গে কথা বলছি, বেনিয়ম আটকাতে কাজ করছি। POS যেন সবাই ব্যবহার করে তা দেখছি।' যে রাস্তায়, সিঙ্গল লাইনে গাড়ি পার্কিং করার কথা, সেখানে গাড়ি রয়েছে ডবল লাইন করে। রাস্তা হচ্ছে সরু। পদে পদে বাড়ছে দুর্ঘটনার শঙ্কা। 
বাড়ছে যানজট।