লখনউ: চলন্ত গাড়িতে নাবালিকাকে গণধর্ষণ। গাড়ি থেকে ছুড়ে ফেলা হল নাবালিকার বান্ধবীকেও। সেই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। ফের ভয়ঙ্কর ঘটনা সামনে এল উত্তরপ্রদেশ থেকে। এই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু এই ঘটনার পর আরও একবার উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা, বিশেষ করে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। (Bulandshahr News)
উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহর থেকে এই ঘটনা সামনে এসেছে। কয়েক দিন আগে চলন্ত গাড়িতে এক নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা হয়। এবার সেই ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুলন্দশহরের পুলিশ সুপার দীনেশকুমার সিংহ বলেন, "আর একটি মেয়ের খোঁজ পেয়েছি আমরা। নির্যাতিতার বান্ধবী, যাকে চলন্ত গাড়ি থেকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। আঘাত সইতে না পেরে পরে মারা যায় মেয়েটি। এই ঘটনায় মেরঠ পুলিশ যথাযথ আইনি পদক্ষেপ করছে।" (Uttar Pradesh News)
বুলন্দশহরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নরেশ কুমার জানিয়েছেন, শনিবার দুপুর ২.৩০টে নাগাদ আর্নিয়া থানা এলাকায়, বুলন্দশহর-আলিগড় হাইওয়ের উপর শ্যুটআউট হয়। তিন অভিযুক্ত এবং খুরজা নগর ও আর্নিয়া পুলিশের টিমের মধ্যে গুলিবিনিময় চলে। তাতে দুই অভিযুক্ত গুলিবিদ্ধ হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে তারা।
ধৃতদের ২৩ বছর বয়সি সন্দীপ সিংহ, ২২ বছর বয়সি অমিত এবং ২২ বছর বয়সি গৌরব নামে শনাক্ত করা গিয়েছে। একজন সুরজপুর, দ্বিতীয় জন গ্রেটার নয়ডা এবং তৃতীয় জন গাজিয়াবাদের বাসিন্দা। জাতীয় সড়কে তল্লাশি চালানোর সময় গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। সেই সময় একটি মাঠে গাড়ি নামলে কাদায় আটকে যায় চাকা। পুলিশ চারিদিক থেকে ঘিরে ফেললে, অভিযুক্তরা গুলি চালাতে শুরু করে। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও। তাতেই দু'জন গুলিবিদ্ধ হয়। ধৃতদের কাছ থেকে পিস্তল, কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। যে গাড়িতে অপরাধ ঘটানো হয়, সেটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
গত ৬ মে চলন্ত গাড়িতে ওই তিন জন এক নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ভারতীয় ন্য়ায় সংহিতার ১১৫-২ (ইচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত করা), ৭০-২ (গণধর্ষণ), ৩৫১-২ (অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন) এবং POCSO ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশকে নির্যাতিতা জানিয়েছে, চাকরি করে দেবে বলে অমিত এবং সন্দীপ তাকে ও তার বান্ধবীকে গ্রেটার নয়ডা থেকে গাড়িতে তোলে ওই দিন রাত ৮টা নাগাদ। গাড়িতে তাদের মদ্যপানে বাধ্য করা হয়।
এর পর রাত ১.৩০টা পর্যন্ত নয়ডার এদিক ওদিক গাড়ি ঘোরানো হয়। পরে গাড়িতে উঠে আসে আর একজন। বাধা দিতে গেলে প্রথমে নির্যাতিতার বান্ধবীকে চলন্ত গাড়ি থেকে বাইরে ফেলে দেওয়া হয়। এর পর ফাঁকা জায়গায় তাঁকে এক এক করে ধর্ষণ করে অভিযুক্তরা। কোনও রকমে প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়ে এসে থানায় অভিযোগ জানায় নির্যাতিতা। এর পর আলিগড়-বুলন্দশহর হাইওয়েতে Kia Seltos গাড়িটির খোঁজ মেলে।