মিজোরামের আইজলের কাছে ঘটে গেল ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ( bridge collapsed)। আইজল (Aizawl)থেকে ২১ কিমি দূরে সাইংরঙ এলাকায় একটি নির্মীয়মাণ রেলের ওভারব্রিজ ( under-construction Railway bridge)ভেঙে  প্রাণ হারালেন বহু শ্রমিক। শেষ পাওয়া খবর অনুসারে, ঘটনায় ১৭ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত্যুর সংখ্যা এখানেই থেমে থাকবে বলে মনে করছে না উদ্ধারকারী দল।  সরকারি আধিকারিকরা মনে করছেন, আরও অনেকেই এখনও আটকে ভেঙে পড়া ব্রিজের নিচে। তাঁদের উদ্ধার করার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল। জানা গিয়েছে ঘটনার সময় সেখানে ৩৫ থেকে ৪০ জন কর্মী কাজ করছিলেন।

  

জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা। ঘটনাস্থলে গেছেন রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আহত ও নিহতদের মধ্যে বেশ কিছু জন এই রাজ্যের বাসিন্দা হতে পারেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে সেই ইঙ্গিত রয়েছে। এই রাজ্যের অনেকেই উত্তর-পূর্ব ভারতে কাজের জন্য যান। তাঁদের কেউ কেউ এই প্রকল্পেও শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। 


মিজোরামের দুর্ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, ''মৃতদের মধ্যে অনেকেই মালদার বাসিন্দা । মিজোরাম প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছি। নিহত ও আহতদের পরিবারের পাশে থাকার জন্য মালদা জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে', সোশাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।  






মিজোরামের রেলসেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় সোশাল মিডিয়ায় শোকপ্রকাশ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, 'মিজোরামে রেলের ওভারব্রিজ ভেঙে শ্রমিক মৃত্যুর ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। মৃতদের বিশেষ করে মালদার শ্রমিকদের পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা জানাই। আমরা দুর্গতদের পাশে আছি। উদ্ধারকাজে পশ্চিমবঙ্গ সরকার মিজোরাম সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।'

ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দফতর থেকে এই ঘটনার জন্য শোক প্রকাশ করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় আহতদের প্রত্যেককেই ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা।  তিনি X প্ল্যটফর্মে লিখেছেন, ' মিজোরামে সেতু দুর্ঘটনায় ব্যথিত। যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন , তাঁদের প্রতি সমবেদনা। আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক। উদ্ধারকাজ তৎপরতার সঙ্গে চলছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে  '