সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: রাজ্য সরকারের দেওয়া নিরাপত্তা ফেরালেন নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিংহ। গতকাল, সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিংহ ও বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। এরপরই বিজেপিতে যোগ দেওয়া দুই বিধায়কের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে জল্পনা চরমে ওঠে। রাতে নোয়াপাড়ার বিধায়কের জন্য নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করে রাজ্য সরকার।


যদিও সুনীল সিংহ জানান, তিনি বিজেপিতেই আছেন। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পাচ্ছেন। তাই নতুন করে তাঁর নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই। পাশাপাশি সূত্রের খবর, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ককেও নিরাপত্তা নেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সূত্রের খবর, তিনি রাজি হননি।  


বিধানসভা নির্বাচনের মুখে তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী যেভাবে অসন্তোষ প্রকাশ করে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন, তাতে এবারের ভোটযুদ্ধ ঘাসফুল শিবিরের কাছে অন্যতম কঠিন চ্যালেঞ্জের বলে ব্যখ্যা পর্যবেক্ষকদের একাংশের। এই প্রেক্ষাপটে এবারের নির্বাচনে মমতার দলের অন্যতম প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপির দুই বিধায়ক যেভাবে তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন। তা উল্লেখযোগ্য বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।


উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের পর দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিংহ। আর লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেন বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস।  গতকাল বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া দুই বিধায়ক সুনীল সিংহ ও বিশ্বজিৎ দাস। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ। দুই বিধায়কের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন তবে এবার কি উলপূরাণের ইঙ্গিত? যদিও, তা মানতে নারাজ তাঁরা।