নয়াদিল্লি: বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব ইস্যুতে কংগ্রেসকে (Congress) এদিন এক হাত নিলেন নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। আর কথা প্রসঙ্গে উঠে এল বাংলার রাজ্য রাজনীতি। কংগ্রেসের পাশাপাশি মোদির তীব্র কটাক্ষর মুখে এদিন তৃণমূলও (TMC)। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। আর আগে, বিরোধীদের ভাবমূর্তির উপর আতস কাচ ধরলেন তিনি। মোদ্দা কথা, যতই দিল্লিতে বিরোধী জোটে তৃণমূল থাকুক না কেন, আদতে বাংলায় যে কোণঠাসা মমতার সরকার, তা এদিন স্পষ্ট করলেন এদিন প্রধানমন্ত্রী (PM)। মোদির কথায়, 'বাংলায় সিপিএম-কংগ্রেস তৃণমূলের বিরুদ্ধে, অথচ দিল্লিতে জোটে একসঙ্গে।'


'যাঁরা কংগ্রেসের পার্টি অফিসে হামলা চালাল, এখন তাঁদের সঙ্গেই জোটে'


তবে কথা এখানেই শেষ নয়, যারা আদতে বিরোধী জোটে সরব, অতীতের তারাই পরস্পরের বিরোধী ছিলেন বলেই মনে করালেন মোদি। এদিন তিনি বলেন, '১৯৯১ সালে অধীর চৌধুরীর সঙ্গে সিপিএম কী ব্যবহার করেছিল, ইতিহাস জানে। যাঁরা কংগ্রেসের পার্টি অফিসে হামলা চালাল, এখন তাঁদের সঙ্গেই জোটে।' প্রসঙ্গত, গতকয়েক দিন ধরেই একের পর এক নিশানা এসেছে অধীর চৌধুরী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে। লোকসভায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মণিপুর প্রসঙ্গ টেনে মোদিকে আক্রমণ করেছেন। আবার বিশ্ব আদিবাসী দিবসে ঝাড়গ্রামের সভা থেকে মোদিকে একহাত নিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আর এদিন পাল্টা আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী।  


আরও পড়ুন, 'এবার অধীরবাবুকে বলতেই দিল না তাঁর দল', কটাক্ষ মোদির


প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য কার্যতই কি দিল্লির বিরোধী জোটের চিড় ধরাবে ? নাকি বাংলায় নয়া সমীকরণ ?


লোকসভা ভোটের আগে পশ্চিমবঙ্গে সেমিফাইনাল ছিল মূলত, পঞ্চায়েত ভোট। আর সেই নির্বাচনে একুশের ধারাবাহিকতাই বজায় রেখে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ফের বাংলায় সবুজ ঝড়। সেদিক থেকে দেখতে গেলে, যদি সারা দেশের ভিত্তিতে দেখা যায়, গতবছর ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোট, চলতি বছরেও যেকটি বিধানসভা ভোট হয়েছে, তার মধ্যে বেশ ভাল ফলই করেছে পদ্মশিবির। তবে বাংলায় সেই সাগরদিঘির মতোই অনেকটা দেশের বুকে বিজেপি সরকারের চোখে বালি হয়ে আটকে আছে কর্ণাটক। তবে লোকসভা নির্বাচনের আর আগে তাই কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ, বরং বিরোধীদের আক্রমণকেই পাল্টা ঘুরিয়ে, লোকসভায় এদিন ব্যুমেরাং মোদি। তবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য কার্যতই কি দিল্লির বিরোধী জোটের চিড় ধরাবে নাকি বাংলায় অন্য সমীকরণ তৈরি করবে, সেটা সময়ই বলবে।