নয়াদিল্লি: সোমবারই দেশের আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন ইনফোসিস কর্তা এন আর নারায়ণ মূর্তি। বলেছিলেন দেশের আর্থিক বৃদ্ধি ১৯৪৭ –এর পরে সর্বনিম্ন হওয়ার সম্ভাবনা। এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে বুধবার রাহুলের টুইট, মোদি আছেন মানেই সব সম্ভব (মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়)।
করোনার আগে থেকেই দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভাল নয়। করোনা সেই বেহাল দশাকে আরও প্রকট করেছে। গত কয়েক মাস ধরে দেশের অর্থনীতি ধুঁকছে। জিডিপি নামছে তরতরিয়ে। সোমবার ইনফোসিস কর্তা বলেছিলেন কমপক্ষে ৫ শতাংশ কমতে চলেছে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি। স্বাধীনতার পর সর্বনিম্ন জিডিপি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। নারায়ণমূর্তির রিপোর্টের স্ক্রিন শট নিয়ে রাহুলের বুধবার টুইট করেন, মোদি আছেন মানে সবই সম্ভব।


মোদির নীতির কারণে দেশের ১৪ কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছে বলে সম্প্রতি অভিযোগ করেছিলেন রাহুল। অর্থনীতির হাল ফেরাতে প্রধানমন্ত্রী ২০ লক্ষ কোটি টাকার ঋণনির্ভর আ্রর্থিক প্রকল্প ঘোষণা করলেও তার প্রভাব এখনও অর্থনীতিতে পড়েনি বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছিল অর্থনীতির ঘুরে দাঁডা়নোর লক্ষণ দেখা গেলেও তা আশাব্যঞ্জক নয় মোটেই। বেশিরভাগ অর্থনীতিবিদ বা আর্থিক উপদেষ্টা মনে করেন, জিডিপি ক্রমেই নামবে। এমনকী ঋণাত্মক হয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কয়েকজন।
অর্থনীতি চাঙ্গা করতে কী করণীয় তা নিয়ে নোবেলজয়ী অ্রর্থনীতিবিদ অভিজিত্ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ-দেশ-বিদেশের একাধিক বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিদের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিকবার আলোচনা করেছেন রাহুল। দেশের মানুষের হাতে নগদের জোগান বাড়ানোর দাওয়াই দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তাঁর পরামর্শ সরকার এখনও গ্রহণ করেনি। সোশ্যাল মিডিয়ার কোনও না কোনও ইস্যুতে মোদিকে আক্রমণের ধারা বজায় রেখে চলেছেন রাহুল।