করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দেশ জুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে। ইতিমধ্যেই দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবারও ৭০ বছরের এক বৃদ্ধ মারা গিয়েছেন পঞ্জাবে। এ ছাড়া দেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৭৩। এমনই পরিস্থিতিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ প্রধানমন্ত্রীর। বক্তব্যের শুরুতেই বিশ্বযুদ্ধকালীন পরিস্থিতির কথা টেনে আনেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের মানুষকে এক জোট হয়ে এই মারণ রোগের বিরুদ্ধে লড়ার ডাক দেন নরেন্দ্র মোদি।

  • দেশ এখন একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সবাইকে লড়তে হবে এক জোট হয়ে।

  • দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে।

  • আপনাদের থেকে আগামী কয়েক সপ্তাহ সময় চেয়ে নিচ্ছি।

  • করোনা মোকাবিলায় কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসাপদ্ধতি জানা নেই। তাই আতঙ্কিত হওয়া স্বাভাবিক

  • আমাদের আরও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হতে হবে। নাগরিক হিসেবে আমাদের কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সব নির্দেশ মানতে হবে।

  • নিজেকে সংক্রামিত হওয়ার থেকে রক্ষা করতে হবে, অন্যকেও বাঁচাতে হবে।

  • নিজে সুস্থ, তাহলে বিশ্ব সুস্থ।

  • যেহেতু, এর কোনও ওষুধ নেই, তাই নিজেকে নিয়ম মানতে হবে।

  • ভিড় থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখুন।

  • বাড়ি থেকে বেরোবেন না।

  • সোশ্যাল ডিসটেন্সিং খুবই প্রয়োজনীয়।

  • আত্মসংযম খুবই জরুরি।

  • যদি মনে করেন, আমার কিছুই হবে না, বাইরে বেরোলেন, বাজারে গেলেন, তাহলে তা ঠিক হবে না।

  • বাড়ি থেকে যতটা সম্ভব কাজ করুন।

  • ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিরা যথাসম্ভব বাড়িতেই থাকুন।

  • সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে, সতর্ক থাকুন।

  • জনতার জন্য জনতার লাগু করা জনতা কার্ফু দরকার।

  • আগামী রবিবার সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা জনতা কার্ফু করুন। বাড়ি থেকে কোথাও বেরোবেন না। জমায়েতে যাবেন না। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষের কথা আলাদা।

  • ২২ মার্চ, রবিবার সকাল ৭-রাত ৯ জনতা কার্ফু।

  • এই জনতা কার্ফু, আগামী দিনের অনেক চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে সাহায্য করবে।

  • রাজ্য সরকারগুলিকেও অনুরোধ করব, মানুষকে জনতা কার্ফু পালন করতে বলার জন্য।

  • বিভিন্ন সংগঠনকেও অনুরোধ করব, এই নিয়ে মানুষকে জানানোর।

  • এখন থেকে জনতা কার্ফুর জন্য প্রচার করুন। প্রতিদিন ১০ জনকে ফোন করে বলুন।

  • গত কয়েক মাস ধরে বহু লোক নিজেদের কথা না ভেবে বিভিন্ন জায়গায় দিন-রাত পরিশ্রম করছেন। অন্যের জন্য কাজ করছেন স্বাস্থ্যকর্মী, সংবাদমাধ্যমের কর্মী, সাফাইকর্মী সহ অনেকেই।

  • এঁরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কাজ করে যাচ্ছেন দেশের মানুষের জন্য।

  • রবিবার আসুন এঁদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই।

  • রবিবার বিকেল ৫টায় নিজেদের বাড়ির দরজায় বা ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে কিংবা ঘণ্টা বাজিয়ে তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করি।

  • রাজ্য সরকারগুলিকে অনুরোধ বিকেল ৫টায় সাইরেন বাজিয়ে এর সূচনা করতে।

  • রুটিন চেক-আপের জন্য হাসপাতাল যাওয়ার দরকার নেই। চেনা পরিচিত ডাক্তারদের ফোন করেই প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিন।

  • খুব প্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচার ছাড়া অন্য অপারেশনের তারিখ নেওয়া থাকলে, প্রয়োজনে পি্ছিয়ে দিন।

  • করোনার এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে গঠন করা হচ্ছে অর্থমন্ত্রকের কোভিড ১৯ ইকনোমিক রেসপন্স টাস্ক ফোর্স।

  • যাঁরা কাজে আসতে পারবেন না এই পরিস্থিতিতে, তাঁদের বেতন না কাটার জন্য আবেদন জানাচ্ছি। বেতন কাটার বিষয়টি মানবিকতায় দেখা উচিত।

  • অযথা অতিরিক্ত জিনিস-পত্র কিনে মজুত করার দরকার নেই।  নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী যোগানে নজর থাকবে সরকারের। কেউ কোনও গুজব ছড়াবেন না।

  • এই পরিস্থিতিতে অনেক আতঙ্ক তৈরি হয়। কিন্তু সকলকে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ থাকতে হবে। নাগরিক হিসেবে আপনাদের প্রত্যেককেই সতর্ক থাকতে হবে।

  • সামনে নবরাত্রি। শক্তি-উপাসনার উৎসব। এই পরিস্থিতিতে আসুন, সকলে মিলে করোনার মোকাবিলায় নামি।