করোনা মোকাবিলায় লড়তে হবে একসঙ্গে। সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। আপাতত সব আধার সেন্টার বন্ধ। ঘোষণা করলেন, চাপ কমাতে শয্যা বাড়ছে বেলেঘাটা আইডি, বাঙ্গুর, আরজিকর হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে তিনি বলেন, গুজব ছড়াচ্ছে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য অমিল। গুজব ছড়ালে পুলিশকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। দোকান, বাজার সব খোলা থাকবে।
আর কী কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী, নজর রাখব।

  • রোগকে ভয় পেলে চলবে না। প্রতিরোধ করতে হবে। প্রিভেনশন ইস বেটার দ্যান কিওর।  আপনাদের ইনফ্রাস্ট্রাকচার আছে। গভর্নমেন্ট ও প্রাইভেট সেক্টর একসঙ্গে কাজ করব। আইসিএমআর শিগগিরই গাইডলাইন্স দেবে। সঙ্গে সঙ্গে প্রস্তুত থাকবেন। সঙ্গে সঙ্গে দেব।

  • রাজারহাটে ক্যান্সার হাসপাতাল, এনবিসিসি বিল্ডিং রেডি করা আছে। শুধু বেলেঘাটা আইডি-র ওপর ভীষণ চাপ পড়ছে।

  • সরকার থেকে অ্যাম্বুল্যান্স রেডি রাখব। তার সঙ্গে সঙ্গে বেলেঘাটা আইডি থেকে অন্য জায়গায় ভর্তি করার ব্যবস্থা করব, যাতে পেশেন্ট বেশি হলেও অসহিষ্ণুতার কারণ না থাকে।

  • এখন ঝগড়া করার বা ব্যবসা করার সময় নয়।

  • বেলেঘাটা আইডি-তে এখন ২২টি বেড আছে । ১০০টি করার চেষ্টা করছি। বাঙুরের নতুন বিল্ডিংয়ে ১৫০ বেড করে দিচ্ছি। আর জি কর হাসপাতালে নাইট শেল্টার করেছেন।  কনভার্ট করে ৫০ বেড করে দিন। ক্যান্সার হাসপাতালে  ৫০০ বেড ধরবে।

  • নার্সদের সুরক্ষার জন্য ২ লক্ষ বিশেষ পোশাকের বরাত দেওয়া হয়েছে।

  • বেলেঘাটা আইডি-র কাছে প্রাইভেট হাসপাতাল বা নার্সিংহোম দেখছি।

  • যাদের ছেলেমেয়েরা বিদেশ থেকে ফিরেছে, তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে, সরকারের ব্যবস্থায়।

  • ৩০০ ভেন্টিলেশন মেশিন অর্ডার গিয়েছি। ৭০ টি অলরেডি ডেলিভার্ড হয়েছে। ২০ দিনে সবটা এসে যাবে। প্রাইভেট হাসপাতালদের বলছি, কেউ স্পনসর করতে চাইলে কথা বলুন।

  • ফুসফুসে সমস্যা হচ্ছে বেশ। ইসিএমও মেশিন ১০টি অর্ডার দিয়েছি।ফুসফুস ক্লিয়ার করে এই মেশিনটা। এটা রাখতে পারলে ভাল।

  • ২ লক্ষ মাস্ক, ৩০ হাজার গ্লাভস, ১০ হাজার থার্মাল গ্লাভস অর্ডার দিয়েছি। যে চিকিৎসকরা কাজ করেন, তাঁদের জন্য মেডিকেটেড ড্রেস অর্ডার দিয়েছি। প্রাইভেটেও এই ব্যবস্থা রাখা দরকার।

  • অনেক সময় ডিপার্টমেন্টাল হেডরা বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘোরেন। মাস্ক পরেন না। তাঁরা যাতে ভাল থাকেন, সেটা দেখতে হবে। আপনারা আক্রান্ত হলে হেল্প করবেন কী করে? আমরা হাসপাতালে গেলে আমাদেরও ব্যবহার করতে হবে।

  • আতঙ্ক বাড়ানোর কারণ নেই। আগামী তিন সপ্তাহ গুরুত্বপূর্ণ। ভারতে এখন সেকেন্ড উইক। আমাদের সিরিয়াসলি নিতে হবে।

  • বাচ্চাদের স্কুলে আসতে হবে না। চাল-আলুর প্যাকেট বাড়িতে পাঠিয়ে দেব। বাড়ির লোকেরা খাওয়াবে। যাতে খাওয়ার ঘাটতি না হয়। আশার মেয়েদের বলছি, মানুষকে সতর্ক করার জন্য। স্বনির্ভর গোষ্ঠীও ভাল কাজ করে। আইসিডিএসে ৬০ লক্ষ বাচ্চা খাবার পায়। আমরা চাই না এদের ক্ষতি হোক। আমরা অনেক সাহায্য পাইনি। বুলবুলেও সাহায্য পাইনি।

  • প্রত্যেক জেলা থেকে স্টেট হেল্পলাইন কাজ করবে। কেউ সর্বক্ষণ ডিউটিতে থাকবে। কেন্দ্রীয় সরকারের কিট পাচ্ছি না। কিট পাঠাতে অনুরোধ করব। আমরা চাইব, তাড়াতাড়ি অনুমতি দেওয়া হোক। কেন্দ্রের এখনই কিট পাঠানো উচিত। সময় চলে যাচ্ছে।