নয়াদিল্লি: অসময়ের বৃষ্টিতে ভিজেছে গোটা দেশ। তার রেশ কাটতেই তীব্র দাবদাহ জাঁকিয়ে বসেছে। তবে তাতে বর্ষার আগমনে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে জানাল আবহাওয়া দফতর। বলা হয়েছে, এ বছর স্বাভাবিক সময়েই বর্ষার আগমন ঘটবে (Monsoon 2023)। ঘাটতি থাকবে না বৃষ্টিতেও। স্বাভাবিক থেকে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এ বছর, জানালে আবহাওয়া দফতর (Weather Forecast)। 

আবহাওয়া দফতরের ঘোষণায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন কৃষিজীবী মানুষেরা

মঙ্গলবার বর্ষার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তাতে বলা হয়েছে, এ বছর বর্ষার আগমন ঘটবে সময়েই। স্বাভাবিক এবং স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা ৬৭ শতাংশ। আবহাওয়া দফতরের এই ঘোষণায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন কৃষিজীবী মানুষেরা। বৃষ্টির উপরই কৃষিকার্য নির্ভর করে মূলত। তাই বর্ষার আগমনে কোনও হেরফের ঘটছে না বলে জানতে পেরে, নিশ্চিন্ত বোধ করছেন।

এ দিন আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস তুলে ধরেন ভূূবিজ্ঞান মন্ত্রকের সচিব এম রবিচন্দ্রণ। তিনি বলেন, "এ বছর স্বাভাবিক বৃষ্টি দেখবে গোটা দেশ। নির্ধারিত সময় মেনে জুন থেকে সেপ্টম্বরের মধ্যেই থাকবে বর্ষার মেয়াদ।" যদিও একদিন আগেই, একটি বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থা 'স্কাইমেট' জানায়, চলতি বছরে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বর্ষার প্রভাব তুলনামূলক কম থাকবে। এর জন্য লা নিনা এবং এল নিনো-কে দায়ী করেছে তারা। 

আরও পড়ুন: Elon Musk In Trouble: মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা, প্রাক্তন সিইও পরাগ চাইলেন ১০ লক্ষ ডলার

পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূল বরাবর এলাকা বরাবর দক্ষিণ থেকে উত্তরে স্বাভাবিকের তুলনায় শীতল সমুদ্রস্রোত লক্ষ্য করা যায়, যাকে বলে লা নিনা। আবার  ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণমুখী উষ্ণ সমুদ্রস্রোতকে বলা হয়ে এল নিনো। বেসরকারি ওই সংস্থার দাবি, এ বছর লা নিনা এবং এল নিনোর মধ্যে ব্যবধান থাকছে। তার জন্যই বর্ষার পূর্ণরূপ দেখা যাবে না বলে মত তাদের।

যদিও কেন্দ্রের দাবি, লা নিনা এবং এল নিনোর সঙ্গে বর্ষার বৃষ্টির কোনও প্রত্য়ক্ষ যোগ নেই ভারতে। এল নিনোর জন্য বর্ষায় ঘাটতির নজির নেই বলে দাবি তাদের।

তবে বর্ষার আগমনে দেরি হবে না জেনে যেমন স্বস্তি মিলছে, তেমনই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রা।  এপ্রিলের শুরুতেই আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল যে, উত্তর-পশ্চিমের কিছু রাজ্য এবং দ্বীপ এলাকাগুলিকে বাদ দিয়ে দেশের সর্বত্র এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অনুভূত হবে। 

মার্চ মাসে তাপমাত্রা মাত্রা ছড়াতে পারেনি

ইতিমধ্যেই চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসকে তীব্র গরমের জন্য উষ্ণতম বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ১৯০১ সালের পর এই প্রথম তাপমাত্রার পারদ এত উপরে চড়তে দেখা গিয়েছে। তবে পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। তার জেরেই মার্চ মাসে তাপমাত্রা মাত্রা ছড়াতে পারেনি বলে মত আবহবিদদের।