নয়াদিল্লি: করোনা আবহে বাতিল করা হল সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্ব। সংসদের সচিবালয়ের জারি করা নির্দেশিকায় উল্লেখ, করোনা পরিস্থিতিতে বাদল অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকবে না। তবে জিরো আওয়ার ও অন্যান্য নিয়ম মেনেই বসবে সংসদের অধিবেশন।


করোনা আবহেই আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে সংসদের বাদল অধিবেশন। চলবে ১ অক্টোবর পর্যন্ত। সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব বাতিল করা নিয়ে আগেই লোকসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছিলেন কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী। যদিও তখনও পর্যন্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব বাতিলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি।


এদিকে, বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘিরে তুঙ্গে রাজনৈতিক বিতর্ক। তৃণমূলের তরফে ডেরেক ও ব্রায়েন ট্যুইট করে বলেন, সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বের জন্য সাংসদদের ১৫ দিন আগে প্রশ্ন জমা দিতে হয়। ১৪ সেপ্টেম্বর অধিবেশন শুরু হবে। তাহলে প্রশ্নোত্তর পর্ব বাতিল করা হল কেন? বিরোধী সাংসদদের প্রশ্ন করার অধিকার খর্ব করা হল। ১৯৫০-এর পর এই প্রথম। সংসদের কার্যকাল একই থাকলে, প্রশ্নোত্তর পর্ব বাতিল হল কেন? গণতন্ত্রকে হত্যা করার জন্য অতিমারিকে অজুহাত হিসেবে খাড়া করা হচ্ছে। একতরফা সিদ্ধান্ত, প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের।











করোনা আবহে এবার সংসদে নিয়মের কড়াকড়ি করা হয়েছে। যাঁরা উপস্থিত থাকবেন, তাঁদের যাবতীয় করোনা প্রোটোকল কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। অধিবেশন শুরুর ৭২ ঘণ্টা আগে প্রত্যেক সাংসদকে করোনা টেস্ট করাতে হবে। সংসদেও থাকছে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা। এবার অধিবেশন চলাকালীন সাংসদ ও সংসদ কর্মী বাদে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

সোশাল ডিসস্ট্যান্সিংয়ের কথা মাথায় রেখে গ্যালারিগুলিতেও বসবেন সাংসদরা। সংসদের প্রতিটি গেটে ঢোকার মুখে থাকবে থার্মাল গান ও স্ক্যানার। সংসদ ভবনের ৪০টি জায়গায় টাচলেস স্যানিটাইজার যন্ত্র বসানো হবে। আপৎকালীন ব্যবস্থা হিসেবে থাকবে মেডিক্যাল টিম ও অ্যাম্বুল্যান্স।


অধিবেশন বসবে প্রতিদিন। এমনকী সপ্তাহান্তেও। জানা গিয়েছে, অধিবেশনের সময়তেও কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রথম ভাগে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা এবং দ্বিতীয় ভাগে দুপুর ৩টে থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত চলবে অধিবেশনের কাজ।