মুম্বই: সুশান্ত মৃত্যু তদন্তে নতুন মোড়। মাদক-যোগে এবার এনসিবি-র হাতে আটক রিয়ার ভাই সৌভিকের পরিচিত ব্যক্তি।


সূত্রের খবর, সৌভিকের পরিচিত বাসিত পরিহার ও সূর্যদীপ মালহোত্রর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল ধৃত মাদক পাচারকারী জায়েদ ভিলাত্রার। অভিযোগ, ধৃত সৌভিকের বন্ধুকে মাদক সরবরাহ করত। গতকাল অন্ধেরি থেকে ওই বাসিতকে পাকড়াও করে এনসিবি।


সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে ড্রাগ-লিঙ্ক। তদন্তে নেমেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। এই প্রেক্ষাপটে গতকাল মুম্বইয়ে এনসিবি-র হাতে গ্রেফতার হল এক ড্রাগ কারবারি। যার সঙ্গে রিয়ার ভাই সৌভিকের যোগাযোগ ছিল বলে অভিযোগ।


নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো সূত্রে দাবি, কয়েকদিন আগে অন্য একটি মামলার সূত্রে তল্লাশি অভিযান চালাতে গিয়ে করণ এবং আব্বাস নামে দু’জনকে ড্রাগ-সহ গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় 'বাড' নামে একধরনের ড্রাগ।


এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সূত্রে দাবি, রিয়া চক্রবর্তীর মোবাইল ফোন থেকে যে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট রিট্রিভ করা হয়, তাতেও বাড নামে ড্রাগের উল্লেখ ছিল।


এই প্রেক্ষাপটে তদন্তকারীদের মনে সন্দেহ জাগে, তাহলে কি দুইয়ের মধ্যে কোনও যোগসূত্র আছে? এনসিবি সূত্রে দাবি, করণ এবং আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই আরেক ড্রাগ কারবারির হদিশ মেলে। তাকে গ্রেফতার করার পরই সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।


অভিযোগ, ধৃত এই ড্রাগ কারবারির সঙ্গে রিয়ার ভাই সৌভিকের যোগাযোগ ছিল। এনসিবি এখন জানতে চায়, সৌভিকের সঙ্গে এই ড্রাগ কারবারির পরিচয় হল কী করে? সৌভিক কি কখনও তার থেকে ড্রাগ কিনেছেন?


এনসিবি সূত্রে দাবি, ড্রাগ কারবার নিয়ে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও তিনটি নাম উঠে এসেছে। এঁরা হলেন -- ফারুখ বাটাটা, সুবেদ লোহিয়া এবং বকুল চান্দেরিয়া। এনসিবি সূত্রে দাবি, ফারুখ বাটাটার সঙ্গে আন্ডারওয়ার্ল্ডের যোগ আছে।


মুম্বইয়ের হাইপ্রোফাইল সেলিব্রিটিদের সঙ্গে তার ওঠাবসা। বলিউডের অনেক নামীদামি ব্যক্তিকে ফারুখ বাটাটা ড্রাগ জোগায়। সুবেদ লোহিয়ার বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ রয়েছে।


যদিও, সুবেদের বিরুদ্ধে কোনও ড্রাগ সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলেনি। আর ড্রাগ কারবারে এই দু’জনের থেকেও পুরনো বকুল চান্দেরিয়া।


এনসিবি সূত্রে দাবি, কোকেন এবং এলএসডি-র বড় সাপ্লায়ার বকুল। ২০১২ সালে জুহুর একটি পার্টি থেকে বকুলকে গ্রেফতার করে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। সেই পার্টিতে কয়েকজন সেলিব্রিটিও ছিল বলে অভিযোগ।


সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুতে ড্রাগ লিঙ্ক সামনে আসার পরই বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। তিনি ট্যুইট করে বলেন, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বলিউডে ঢুকলে, প্রথম সারির অনেক লোকজন জেলে যাবে। রক্ত পরীক্ষা করানো হলে, চমকে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে আসবে। আশা করি, স্বচ্ছ ভারত মিশনে প্রধানমন্ত্রীর দফতর বলিউডের এই আবর্জনাও সাফ করবে।


এদিকে, অন্যদিকে, গতকালের পর আজ ফের রিয়া চক্রবর্তীর বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের। পাশাপাশি, আজ ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি ব্যবসায়ী বরুণ মাথুর। তিনি সুশান্তর ব্যবসায়িক সহযোগী ছিলেন বলে সূত্রের খবর।