নয়াদিল্লি: ‘একাদশী’র দিন চন্দ্রাভিযান হলে কি সাফল্য আসত ইসরোর ঘরে? এমনটাই বোঝাতে চাইলেন হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর নেতা সম্ভাজি ভিড়ে। সোলাপুরে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, নাসা চাঁদে মহাকাশযান পাঠাতে ৩৮ বার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়, শেষ পর্যন্ত সাফল্য আসে ৩৯-তম প্রয়াসে, কারণ সেদিনটা ছিল একাদশী। এই প্রাক্তন আরএসএস কর্মী বর্তমানে মহারাষ্ট্রে শিব প্রতিষ্ঠান হিন্দুস্তান নামে একটি সংগঠন চালান। ২০১৮র ১ জানুয়ারি ভিমা কোরোগাঁওয়ের জাতপাত সংঘর্ষে অভিযুক্ত তিনি। যদিও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান-২ এর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-কে সফট ল্যান্ডিং করানোর যে ঐতিহাসিক উদ্যোগ নিয়েছে, তার প্রতি ইঙ্গিত করেই এমন উদাহরণ টানেন ভিড়ে। গত ৭ সেপ্টেম্বর লক্ষ্যের খুব কাছে গিয়েও ‘বিক্রমে’র সফট ল্যান্ডিং হয়নি। চন্দ্রযান-২ এর সঙ্গে তার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। সেটি হার্ড ল্যান্ড করে। পরে বিক্রমের হদিশ মিললেও এখনও তার সঙ্গে যোগাযোগ পুনঃস্থাপন হয়নি। ইসরো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সেটি অক্ষত থাকলেও হেলে রয়েছে। ভিড়ের দাবি, নাসা বারবার চন্দ্রাভিযানে অসফল হওয়ায় জনৈক মার্কিন বিজ্ঞানীই প্রস্তাব দেন, তাঁদের ব্যবহার করা সিস্টেমের পরিবর্তে ভারতীয় সময় পরিমাপের সিস্টেম মেনে অভিযান করা হোক। সেই প্রস্তাব মতো ভারতীয় পদ্ধতিতে সময়ের হিসাব করেই চমকে দেওয়া সাফল্য মেলে। ৩৯ বারের চেষ্টায় মার্কিনীরা চাঁদে মহাকাশযান পাঠানোয় সফল হয়। এর কারণ সেই যান পাঠানো হয়েছিল একাদশীর দিন। একাদশী হল একটি মাসের দুটি পক্ষ অর্থাত শুক্ল পক্ষ ও কৃষ্ণ পক্ষের মধ্যবর্তী একাদশতম দিন (তিথি)। রীতি-বিশ্বাস মেনে সেদিন অনেকেই উপোস থাকেন, পূজা-অর্চনা করেন। ভিড়ের এমন হতবাক করা দাবি নতুন কিছু নয়। এর আগে তিনি তাঁর বাগানে হওয়া আম খেয়ে অনেক দম্পতির পুত্রসন্তান হয়েছে বলে দাবি করেন। নাসিকে তিনি বলেছিলেন, আম পুষ্টিকর, শক্তিবর্ধক ফল। কয়েকজন মহিলা আমার বাগানের আম খেয়ে পুত্রসন্তানের মা হয়েছেন।