নয়াদিল্লি: রাজস্থানে, শুক্রবার সন্ধ্যায়, নবরাত্রিতে, যখন ভক্তরা মায়ের তৃতীয় রূপ চন্দ্রঘন্টাকে পূজা করে বেরিয়ে আসেন, তখন ভক্তদের চোখ পড়ে যায় আকাশের দিকে। চাঁদ এবং তার ঠিক নীচে উজ্জ্বল নক্ষত্র দেখে মানুষ হতবাক হয়ে যায়। মানুষ মন্দিরে মায়ের রূপ দেখে আকাশের দিকে চাঁদের দিকে তাকায়। এটা দেখে সকলেই বলতে শুরু করে এ এন মায়ের কপালের টিপ আকাশে।
অনেকে এই ঘটনাটিকে নবরাত্রি এবং রমজানের সঙ্গেও যুক্ত করেছেন। সেই সব মন্তব্য সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। কেউ বলেছেন, চাঁদ ভগবান ভোলেনাথের মাথার সৌন্দর্য বাড়াচ্ছে। পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখে সেলফি তুলতে দেখা গেছে অনেককেই।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্ধে যত গড়িয়েছে ততই ছড়িয়েছে আলোচনা। চাঁদের (Moon) ঠিক নিচে ওটা কী ? উজ্জ্বল এক আলোকবিন্দু ঘিরে তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গার পাশাপাশি জানা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায় দেখা গিয়েছে যে ছবি। যা দেখতে পেয়েই প্রায় সকলেই ছুটেছেন মোবাইলে তা ক্যামেরাবন্দি করতেও। সঙ্গে চলেছে আলোচনা, জল্পনা। আসলে কী কোনও তারা, কোনও গ্রহ নাকি অন্য কিছু, মহাকাশের মহাজাগতিক আলো নিয়ে আলোচনার অন্ত নেই। ইতিমধ্যে জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা খতিয়ে দেখতে শুরু করেন, আলোটি আসলে কী। পরে জানা যায়, আসলে শুক্রগ্রহের আলোর ছটায় তৈরি হয়েছে ওই আলোর বিন্দু।
আরও পড়ুন, পশ্চিম আকাশে 'মহাজাগতিক' মিলন, এক সারিতে চাঁদ-বৃহস্পতি-শুক্র
জ্যোর্তিবিজ্ঞানী দেবীপ্রসাদ দুয়ারি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সন্ধে হতেই কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী একাধিক জায়গা থেকে দেখা গিয়েছে যে দৃশ্য। সূর্যাস্তের পরই দেখা যায়, একফালি চাঁদের ঠিক নিচে জ্বলজ্বল করছে এক আলোকবিন্দু। ওই উজ্জ্বল আলোকবস্তুটি আসলে শুক্র গ্রহ। কলকাতার সময় অনুযায়ী ৪ টে ৪৩ থেকে ৬ টা ৮ পর্যন্ত সময়ে চাঁদ ঢেকে ফেলেছিল শুক্র গ্রহকে (Venus) । যেন বলা যায়, শুক্র গ্রহের গ্রহণ হচ্ছিল। ৬ টা ৮ মিনিটের মাথায় গ্রহণ ছেড়ে তা বেরিয়ে আসে। যার পর আস্তে আস্তে আস্তে চাঁদ ও শুক্রের মধ্যে ব্যবধান খানিক বাড়তে শুরু করে। যার ফলেই তৈরি হয় এই আলো।