নয়া দিল্লি: প্রতিদিন যেমন গাড়ি নিয়ে যেমন বেরোন বেরিয়েছিলেন। কিন্তু যাত্রাপথের মধ্যেই যে এমনটা ঘটে যাবে আন্দাজও করতে পারেনি কেউ। কিন্তু ঘটল এমনটাই। রেলওয়ে স্টেশনের সামনে গাড়ি চালানোর সময় আচমকাই হার্ট অ্যাটাক হয়। ঘটনাস্থলেই দুই ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল তাকে সিপিআর দেন। সময়মতো চিকিৎসার কারণে তার জীবন রক্ষা পায়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে ভর্তি।

কনস্টেবলের এই তাৎক্ষণিক কাজে জীবন ফিরে পান ওই ব্যক্তি। সকলেই প্রশংসা জানিয়েছে। এসএসপি ওই পুলিশ অফিসারদের পুরস্কার দিয়ে উৎসাহিতও করেছেন। পুলিশ কর্মীদের দেওয়া সিপিআর প্রশিক্ষণের এটি একটি ইতিবাচক ফলাফল, এমনটাও বলা হয়েছে। 

মঙ্গলবার, একটি ঘটনা প্রকাশ্যে আসে যেখানে রেলওয়ে স্টেশনের সামনে হৃদরোগে আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ সদস্যরা তাকে সিপিআর দিয়ে তার জীবন বাঁচিয়েছেন। রেলওয়ে স্টেশনের সামনে চালকের হৃদরোগে আক্রান্ত হলে, দুই ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল সময় নষ্ট না করে সিপিআর দিয়ে তার জীবন বাঁচিয়েছেন। সেখানে উপস্থিত লোকজন পুলিশ সদস্যদের কাজের প্রশংসা করেন। এসএসপি সতপাল আন্তিল দুই কনস্টেবলকে তাদের এই কাজের জন্য ৫,০০০ টাকা দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন।

                                         

পুলিশ সূত্রে খবর,  মঙ্গলবার দুপুরে রেলস্টেশনের তিন নম্বর গেটের কাছে  গাড়ির চালক মদন কুমার হৃদরোগে আক্রান্ত হন। মদন কুমার রামপুরের জলপুরের বাসিন্দা। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মারেন। ঘটনার সময় হেড কনস্টেবল রাজপাল এবং কনস্টেবল সোনবীর সিং ট্র্যাফিক ডিউটিতে ছিলেন। ট্র্যাফিক পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ঘটনাস্থলে প্রচুর ভিড় জমে যায়। সময় নষ্ট না করে দুজনেই চালককে সিপিআর দিতে শুরু করেন।                                       

কিছুক্ষণ সিপিআর দেওয়ার পর চালকের হৃদস্পন্দন শুরু হয়। এরপর তাকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানান, সিপিআর না দেওয়া হলে চালকের মৃত্যু হত।