নয়াদিল্লি: নতুন বছরের শুরুতেই আসছে একাধিক ভ্যাকসিন। আশ্বাস কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনের। ভারতে এখনও ভয়ঙ্কর করোনা! একই পরিস্থিতি রাজ্যেও। বাড়ছে সংক্রমণ, হচ্ছে মৃত্যু। এমনকী শীতে সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে নীতি আয়োগ। এই অবস্থায় সামনেই দুর্গাপুজো। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, দুর্গাপুজোর পর আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে করোনা সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে কবে আসবে ভ্যাকসিন? মুখে মুখে ঘুরছে এই একটাই প্রশ্ন। সেই জল্পনার অবসান হওয়ার ইঙ্গিত মিলল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কথায়। তিনি আশার কথা শুনিয়ে জানিয়েছেন, নতুন বছরের শুরুতেই করোনা ভাইরাসের একাধিক ভ্যাকসিন আসবে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার মন্ত্রিগোষ্ঠীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। শুধু ভ্যাকসিন আসাই নয়, কীভাবে তা সারা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে, বিশেষজ্ঞ কমিটি তার রূপরেখাও তৈরি করছে বলেও জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আশা করছি, সামনের বছরের গোড়ায় দেশে ভ্যাকসিন এসে যাওয়া উচিত। হতে পারে, একাধিক উত্স থেকে আসবে। কিন্তু হর্ষবর্ধন ভরসার কথা শোনালেও অশনিসংকেত দিয়েছে নীতি আয়োগ। সামনেই শীত। সেসময় সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য ভিকে পল বলেছেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি পালন করার ক্ষেত্রে আমাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে। কেননা এটি শ্বাসজনিত ভাইরাস এবং বেশিরভাগ শ্বাসজনিত ভাইরাসই শীতের সময় মাথাচাড়া দেয়। সুতরাং আমাদের ব্যবহার, আচরণে বদল আনা জরুরি, মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

সামনেই উৎসবের মরসুম। ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত করোনা নিয়ে কোনও ঢিলেমি দেখানো চলবে না বলে বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বলেছেন, যব তক দাওয়াই নেহি, তব তক ঢিলেমি নেহি।
এরই মধ্যে এক স্বেচ্ছাসেবক অসুস্থ হয়ে পড়ায় করোনা প্রতিষেধকের ট্রায়াল বন্ধ করে দিল মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসন। দু’ সপ্তাহ আগেই ৬০ হাজার মানুষের উপর ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করে সংস্থা। এরই মধ্যে ট্রায়াল স্থগিত করল তারা।