নয়াদিল্লি: গা শিউরে ওঠার মতো ধর্ষণের উত্তরপ্রদেশে একের পর ধর্ষণের ঘটনার জের কাটতে না কাটতেই এ বার ঝাড়খণ্ড। প্রতিবেশী রাজ্যের দুমকা এলাকা থেকে এক ভয়াবহ গণধর্ষণের খবর পাওয়া গিয়েছে। অভিযোগ, গত মঙ্গলবার রাতে এক মহিলাকে ধর্ষণ করে ১৭ জন মিলে। জানা গিয়েছে নির্যাতিতা মহিলা পাঁচ সন্তানের মা। বছর পঁয়ত্রিশের মহিলার মেডিকেল টেস্ট করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, লালসার শিকার হওয়া ওই মহিলা তাঁর স্বামীর সঙ্গে বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। কয়েকজন তাঁদের পথ আটকায়। তারা মহিলার স্বামীকে বন্দি করে ফেলে। তারপরই মহিলার ওপর পাশবিক অত্যাচার চালায়। মহিলার জমা দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ১৭ জন দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে এফআইআর জমা করেছে। প্রধান অভিযুক্তের নাম রাম মোহালী। বাকি অপরাধীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
ঘটনাস্থলটি মুফাসিল থানা এলাকায় পড়ছে বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে একজনকে শনাক্ত করতে পেরেছেন মহিলা। ডিআইজি সুদর্শন মণ্ডল এবং দুমকার পুলিশ সুপার অম্বর লাকড়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসেছেন সরেজমিনে।
পুলিশকে অত্যাচারিত মহিলার স্বামীর দেওয়া বয়ান অনুযায়ী, রাত আটটা নাগাদ স্ত্রীকে নিয়ে তিনি বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। রাস্তায় কয়েকজন মদ্যপ তাঁদের পথ আটকায়। পাঁচজন তাঁকে ধরে আটকে রাখে। বাকিরা তাঁর স্ত্রী’কে টেনেহিঁচড়ে ঝোপের মধ্যে নিয়ে যায়। গণধর্ষণ করা হয়। কাউকে কিছু বললে মেরে ফেলা হবে, এমন হুমকিও দেয় তারা।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্যে ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। তাদের বক্তব্য, রাজ্য সরকার আদিবাসীদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না বলেই বারবার ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে।
জাতীয় মহিলা কমিশনের গোচরে ঘটনাটি আসার পর তারা রাজ্য পুলিশকে দুমাসে তদন্ত শেষ করতে বলেছে। পুলিশের কাছে তারা বিস্তারিত জানতে চেয়েছে, কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তারা এ ঘটনার তদন্ত করতে বলেছে। সংগঠনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা ঝাড়খন্ডের ডিজিপিকে লিখিত নির্দেশে বলেছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বেঁধে দেওয়া দু মাসের সময়সীমার মধ্যে এই যৌন নির্যাতনের তদন্ত সম্পূর্ণ করতে হবে।