কলকাতা: যাঁর স্নেহচ্ছায়ায় ছোট থেকে বড় হয়ে ওঠা আজ তাঁরই দিন। বড় হওয়ার পরেও আজীবন যাঁর কাছে নির্দ্বিধায় সব আবদার করা যায়, যাঁর উপর সব রাগ দেখানো যায়। আজ তাঁরই দিন। আজ মাতৃদিবস। 


যে কোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রেই দেনা পাওনা বা কোনও না কোনও চাহিদা লুকিয়ে থাকে। কিন্তু মা ও সন্তানের সম্পর্ক সবকিছুর ঊর্ধ্বে। এই সম্পর্কের উদযাপন হয়তো প্রতিদিনই হয়। তবুও বছরের একটা দিন রাখা হয়েছে বিশ্বের সব মায়েদের প্রতি সম্মান জানিয়ে। সন্তানের বেড়ে ওঠায়, সমাজ তৈরিতে মায়েদের অবদানকে আরও একবার স্মরণ করার জন্য়ই পালিত মাতৃ দিবস। এই বছর ১৪ মে, রবিবার পালিত হচ্ছে মাতৃদিবস।


কবে মাতৃদিবস:
বিশ্বে ৫০টিরও বেশি দেশে মাতৃদিবস পালন করা হয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে একটি বিশেষ বিষয় উল্লেখ করতে হবে। সব দেশে কিন্তু একই দিনে মাতৃদিবস পালন করা হয় না। ভারত ও আমেরিকায় প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় দিনে পালিত হয় মাতৃদিবস। এই বছর সেই দিনটি পড়েছে ১৪ মে। ইংলন্ডে মার্চ মাসের একটি দিন পালিত হয় মাতৃদিবস হিসেবে।


কবে থেকে শুরু:
প্রাণসৃষ্টির সময় থেকে মা ও সন্তানের সম্পর্কের শুরু। কিন্তু আলাদা করে মাতৃদিবসের সূচনা কিন্তু খুব বেশিদিনের পুরনো নয়। ১৯০০ শতকের একেবারে প্রথম দিকে এই দিনটি পালনের খোঁজ পাওয়া যায়। সেই সময় আমেরিকায় মায়েদের ভূমিকার কথা ভেবে আলাদা একটি দিন পালন শুরু হয়েছে সবে। আনা জারভিস নামে এক মার্কিন মহিলা তাঁর প্রয়াত মাকে শ্রদ্ধা জানাতে এমন একটি দিনের কথা ভাবেন। তিনিই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বিশ্বের সব মায়েদের কথা ভেবেই ওই দিনটি আলাদা করে স্মরণ করা হবে। তারপরে ১৯০৮ সালে মে মাসের এই দিনটিতে মাদার্স ডে হিসেবে পালন করা হয় ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার গ্রাফটনে। সেটাও প্রথম। এরপরে আনা ও তাঁর বন্ধুরা আমেরিকার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির কাছে আবেদন জানান এই দিনটিকে জাতীয় ছুটি হিসেবে ঘোষণা করার জন্য। পাশাপাশি চলতে থাকে প্রচার। কয়েক বছরের মধ্যেই আমেরিকার বিভিন্ন রাজ্যে পালন করা শুরু হয় মাতৃদিবস। এরপর ১৯১৪ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন (Woodrow Wilson) মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার মাদার্স ডে হিসেবে পালন করার কথা ঘোষণা করেন। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে অন্য দেশেও ছড়িয়ে যায় এই দিন পালনের বিষয়টি।


আর্থিক অবস্থা, সামাজিক অবস্থা বা অন্য কোনও বিষয়- কোনও অবস্থার উপরেই নির্ভর করে না সন্তানের প্রতি মায়ের স্নেহবর্ষণে বিষয়টি। সারাজীবন নিরাপত্তা আর স্নেহের চাদরে যিনি মুড়ে রাখেন। তাঁর জন্য এই একটি দিনও হয়তো কম।

আরও পড়ুন:  খুব গরম! এসি ছাড়াই ঠান্ডা থাকবে ঘর, কী করতে হবে?