কলকাতা: প্রবল গরম পড়েছে। রাজ্যে প্রায় তাপপ্রবাহের অবস্থা। দফায় দফায় গরমের কারণে নাজেহাল বাসিন্দারা। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলেও তা সামান্য স্বস্তিই দিতে পারছে। অল্পস্বল্প বৃষ্টি কিছুক্ষণের জন্য পরিবেশ ঠান্ডা করলেও ফিরে আসে দুঃসহ গরম। 


দুপুরে ঘরে থাকলে শান্তি পাওয়া যায় না। রাতেও অসহ্য গরমে ঘুম আসে না। তাই গরম পড়তেই ফ্যান আর এসি বিক্রি বাড়তে থাকে। কিন্তু সব সময় এসি চালানো যায় কি? বিদ্যুতের ক্রমশ বেড়ে চলা দাম বিদ্যুতের বিল নিয়ে উদ্বেগ বাড়ায়। অনেকসময়ে লোডশেডিংও থাকে। পাশাপাশি এসির দাম অনেকটাই বেশি। হঠাৎ করে এসি কিনে লাগানোর মতো আর্থিক ক্ষমতাও সকলের থাকে না। তাঁদের জন্যও কিন্তু বেশ কিছু উপায় রয়েছে। সস্তায় এবং সহজে ঘর ঠান্ডা রাখার উপায়। এক এক করে সেগুলি দেখে নেওয়া যাক।


ঘরের জানলা:
প্রবল গরমে ঘরের জানলা খুলবেন না। যেদিক থেকে রোদ আসে সেদিকের জানলা রোদ পড়ে যাওয়ার পরেই খুলবেন। আগেকার দিনের বাড়িতে কাঠের জানলা থাকত, রোদ রুখে ঘর ঠান্ডা রাখত। ইদানিং কালের কাচ ও লোহার জানলা সেই কাজ করে না। তবুও রোদের দিকের জানলা বন্ধ রাখলে তুলনায় ঠান্ডা থাকবে ঘর।


ভারী পর্দা:
সুতির ভারী পর্দা ব্যবহার করুন। জানলা ওই ভারী পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখুন। তাহলে রোদ আটকালেও হাওয়া আটকাবে না। প্রয়োজনে ওই সুতির পর্দায় জল স্প্রে করে রাখতেন পারেন। তাহলে ঠান্ডা থাকবে ঘর।


ফিরে আসুক খসখস:
আগেকার দিনে খসখস ব্যবহার করা হতো। ঘর ঠান্ডা রাখার জন্য খুব উপকারী। ভারী খসখসে জল ছিটিয়ে রাখা হতো, সুগন্ধীও দেওয়া হতো। গরম হাওয়া ঠান্ডা করে ঘরে ঢোকাতে জুড়ি নেই খসখসের। ইদানিং খুব কম জায়গায় পাওয়া গেলেও একবার খোঁজ করে দেখতেই পারেন। 


ফ্য়ানের সঙ্গী বরফ:
গরমে ফ্যান চালিয়েও আরাম পাওয়া যায় না, একসময় ফ্যান থেকেও যেন গরম হাওয়া বেরোয়। সেই সমস্যার সমাধান করতে পারে বরফ। আগে থেকেই ফ্রিজে জলভর্তি বোতল ঢুকিয়ে রাখুন। সেটা পরে বের করে ফ্যানের সামনে রেখে দিন। অথবা ফ্যানের সামনে বাটিতে বরফ রেখে দিন। ঘর ঠান্ডা হয়ে যাবে।


ছাদের রং সাদা:
সাদা রং আলোর প্রতিফলন করে। সূর্যের আলোর প্রতিফলন করায় গরমও কম হয়। সেই কারণেই চুনের সঙ্গে সাদা রং মিশিয়ে ছাদে রং করা যায়। তাহলে ছাদের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় ঘরের তাপমাত্রাও অনেকটাই কমে যাবে। 

আরও পড়ুন: চুল পড়ার সমস্যা কমায়, সাহায্য করে বৃদ্ধিতে, কোন কোন বীজ থেকে চুলের যত্ন হবে সবচেয়ে ভাল?